মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে চুরি করা ভারতীয় চিনি ছিনতাই করতে গিয়ে বিএনপির ২ নেতা আটক শহিদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা ঊর্মির এবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন, চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাত, নারী-শিশুসহ নিহত ১৬ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করা নারী খুন, গ্রেপ্তার পুলিশ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের ব্যাখ্যা দিলেন আবদুল মুয়ীদ তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার খাবেন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা : আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২৬৮ বার

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগে আজ (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলার রায় দেয়ার কথা রয়েছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে গত ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাটি করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে মামলা করা গাম্বিয়া মিয়ানমারের গণহত্যার আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যবস্থা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে জরুরিভাবে আদেশ দেয়ার আহ্বান জানায়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) অনুসারে, ১৯৯৩ সালের আন্তর্জাতিক আদালতে প্রথম গণহত্যা বিষয়ক মামলায় সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কারণ ওই মামলায় প্রমাণিত হয়েছিল যে, সার্বিয়া বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি স্থাপনে দায়িত্ব লংঘন করেছিল।

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক কঠোর বিদ্রোহ দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এতে গণধর্ষণ, হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়াসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তবে অতিতের বিভিন্ন সময় মিলিয়ে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অবস্থান করছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের অভিযোগের মধ্যে ছিল হত্যা, গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন, ভৌত বিনাশ বয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি, জন্মরোধের ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া ও জোরপূর্বক স্থানান্তর। এগুলো গণহত্যার বৈশিষ্ট্য। কারণ এসবের উদ্দেশ্য ছিল রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দেয়া।

গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবুবাকার মারি তামবাদো ওই সময় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের চালানো গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহি চাইতে এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক আচরণ যা সব রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক তাকে সমর্থন ও জোরদার করতে গাম্বিয়া এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান গত অক্টোবরে সতর্ক করে দিয়েছে যে সেখানে গণহত্যার পুনরাবৃত্তির গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। সূত্র : ইউএনবি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com