বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ইতোমধ্যে জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে জুরাইন এলাকায় গণসংযোগ করার সময় মাজার গেটে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ গিয়ে দেখেছি ইতোমধ্যে গণজোয়ারে তৈরি হয়েছে। ইশরাক হোসেন ইতোমধ্যে জনগণের রায়ে নির্বাচিত। এখন ১ তারিখের ভোটের অপেক্ষা। ইতোমধ্যে জনগণের কাছে জয়যুক্ত হয়ে আছেন। এখন আপনারা এক তারিখে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে, কেন্দ্র পাহারা দিয়ে এই সরকারের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ইশরাক হোসেনকে ভোট দিবেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সৈনিক, বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের সৈনিক, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সুযোগ্য সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জন্য ধানের শীষে ভোট চাইতে এসেছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য আপনাদের এই ভোট হবে ইশরাক হোসেনের পক্ষে। এ মার্কা শুধু ইশরাক হোসেনের নয়, এই মার্কা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, এই মার্কা বেগম খালেদা জিয়ার, এই মার্কা তারেক রহমানের। তাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে ইশরাক হোসেনকে জয়যুক্ত করবেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১২ বছরে ঢাকা শহরকে বাসের অযোগ্য রাজধানীতে পরিণত করা হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের শহরে পরিণত করেছে। আজকে আবার তারা আপনাদের নিকট ভোট চাইতে আসে। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন মেয়র ছিল তখন সারা ঢাকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল কিন্তু তারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, সাদেক হোসেন খোকা যখন মেয়র ছিলেন তখন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, এবার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সেই পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, দেশে আজকে এই স্বৈরশাসক ফ্যাসিস্ট সরকার অর্থনীতি ব্যবস্থা, সামাজিক ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং এই মহানগরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। এই শহরকে যদি বসবাস উপযোগী শহর করতে চাই এবং ঢাকা শহরের নাম পৃথিবীর মধ্যে যে নিম্নমানের শহরের তালিকায় রয়েছে সেখান থেকে যদি নাম মুছাতে চাই তাহলে ইশরাক হোসেনকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিবেন। আপনারা যদি ইশরাক হোসেনকে ভোট দেন তাহলেই এই শহরকে বসবাসযোগ্য শহরে পরিণত করা হবে। দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা হবে।