দখলদার ইসরাইলি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তপ্ত আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেছেন জেরুসালেম শহরের প্রধান মুফতি শেখ ইকরিমা সাবরি। গত শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি আইনজীবী ও কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি মসজিদে প্রবেশ করেন। এ সময় অধিকৃত শহরটিতে ধর্মীয় প্রতীককে লক্ষ্যবস্তু বানানোয় ইসরাইলি প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন মুফতি সাবরি।
মসজিদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে সাবরি বলেছেন, ইসরাইলের দখলদারিত্ব আমাদের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। এখন তারা আমাদের কথা বলার অধিকারও হরণ করতে চায়। আমরা যখনই দাবি করি আল-রাহমা ফটক আল-আকসার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তখন দখলদাররা বলতে থাকে যে, আমরা নাকি উত্তেজনা বাড়াচ্ছি।
এ দিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আল-আকসায় নামাজ আদায় নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও এই সাবরির সমর্থনে গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় লোকজন জেরুসালেমে সমবেত হন।
তখন সাবরি বলেছিলেন, ইসরাইলিদের আমি বলতে চাই যে, আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। কেননা আল-আকসায় আমাদের অধিকারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। অন্য দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। গত শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ চলাকালে জোর করে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়। এ সময় অন্তত ১৩ মুসল্লিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, মুসল্লিদের ছত্রভঙ্গ করতে ইসরাইলি বাহিনী এবার রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। এমনকি মুসল্লিদের ঘিরে রেখে তাদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ পর্যন্ত করা হয়েছে। সূত্র : আনাদোলু।