যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সমালোচনা করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন। সুয়েলা ব্রাভারম্যান তার ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে এক সংসদীয় সহকর্মীর কাছে অফিশিয়াল নথি পাঠানোর ঘটনায় পদত্যাগ করেন।
লিজ ট্রাসের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সাবেক পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ড শ্যাপস তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
সুয়েলা ব্রেভারম্যান দাবি করেছেন, অভিবাসন-সংক্রান্ত সরকারি নীতির পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে এক ‘সংসদীয় সতীর্থকে’ ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। তার ফলে লঙ্ঘিত হয়েছে নিয়ম। অভিবাসন-সংক্রান্ত ওই নথির বেশিরভাগটাই এমপিরা জানলেও ইস্তফা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেন ব্রেভারম্যান।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা সম্প্রতি ভারতীয়দের নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘ভিসার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।’
এর ফলে ভারত সরকারের সমালোচনার শিকার হয় ব্রিটেন। ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়। এছাড়া বুধবার হাউস অব কমন্সে সুয়েলা ব্রেভারম্যান ব্রিটেনে সাম্প্রতিক ধর্মঘটের জন্য লেবার পার্টিকে দায়ী করায় প্রবল হাসাহাসি হয়।
ব্রেভারম্যান বলেছেন, তিনি একজন সহকর্মীকে অফিসিয়াল নথি পাঠানোর জন্য তার ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করার পরে পদত্যাগ করেছেন। এটিকে সরকারি নিয়মের ‘প্রযুক্তিগত লঙ্ঘন’ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। ব্রেভারম্যান তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন: ‘আমি একটি ভুল করেছি; আমি দায় স্বীকার করছি; আমি পদত্যাগ করেছি।’
এর আগে ট্যাক্স ইস্যুতে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেং। এরপরই গুঞ্জন ওঠে প্রধানমন্ত্রীকেও শিগগির পদত্যাগ করতে হতে পারে।
তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই লিজ ট্রাসের বলে জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক মুখপাত্র।
সূত্র : বিবিসি/রয়টার্স