বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি স্বমদদপুস্ট ব্যক্তির অসাংগঠনিক ও গ্রাম্য মাতাব্বরী আচরনে বাগডিসি অনেকটা তার ঐতিহ্য হারাতে বসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ ডিসেম্বর বাগডিসির বিজয় দিবস পালন অনুস্ঠান “হৃদয়ে বাংলাদেশ” চলাকালীন সময়ে তথাকথিত বিএনপি নেতা নেসার আহমেদ অনুষ্ঠানের নিজনপ্রীতি ও বাংলাদেশ ইতিহাস বিকৃতির সঠিক বিচার ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি) থেকে গণহারে পদত্যাগ করেছে এর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দবর্গ । বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্ক্ (বাই) থেকে নাম পরিবর্তন করে ২০০৭ সালে বৃহত্তর ওয়াশিংটনে বাগডিসির যাত্রা শুরু হয়। জন্মলগ্ন থেকে এ সংগঠনটি বিভিন্ন আর্থ সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলো পালন করে আসছে প্রবাসের মাটিতে অত্যান্ত ঝাঁকজমকপূর্ন ও গুরুত্বের সাথে প্রতি বছর।
কিন্তু এই সংগঠনের ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠীর বিতর্কিত ও রাজনৈতিক য়ম কানুন ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে বিতর্কিত অডিও রেকর্ড বাজিয়ে জাহির করতে চেয়েছিলেন স্বৈরশাসক মেজর জিয়া ৭১ এর প্রথম প্রেসিডেন্ট যা ডাহা মিথ্যা, আজগুবি ও ভিত্তিহীন । যা অনুষ্ঠানের কোন অংশই ছিলো না।
বাগডিসির এই হীন অপ তৎপরতার বিরুদ্ধে সেদিন সাথে সাথেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্ষুব্ধ দর্শকবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ জানায় ও মারমুখি হয়ে উঠে। এ সময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে বাগডিসির সাধারন সম্পাদক আবু সরকার মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে অনাকাংখিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন ও এই অমার্জিত অপরাধকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস দেন। এরপর সঠিক অডিও রেকর্ডটি বাজিয়ে অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু করেন।
বাগডিসির সহ সভাপতি নেসার আহমেদ কিভাবে এমন কাজটি করতে সাহস পেল তা বাগডিসির বেশীরভাগ নেতাকর্মীর বোধগম্যের বাহিরে ছিল। এখানে উল্লেখ্য অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বাগডিসির সহকারি সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুমনকে শব্দ নিয়ন্ত্রনের দায়ীত্ব দেয়া হয়েছিল। নেসার আহমেদ সুমনকে বিতর্কিত অডিও রেকর্ডটি বাজাতে অনুরোধ করলে প্রথমে সুমন তা বাজাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তার উপর চাপ প্রয়োগ করে ও ভীতি প্রদর্শন করে তা বাজাতে বাধ্য করে (সুমন তার ফেসবুকে তা প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানের পরদিন)।নেসার আহমেদ সঠিক ও মুল অডিওটি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জোরপুর্বক ভাবে সরিয়ে উনার মন গড়া ইতিহাস বিকৃতি করার অডিও টি বাজান যা তিনি পকেটে করে ফ্লাশড্রাইবে করে নিয়ে এসেছিলেন যা সবার বোধগম্যের বাহিরে ছিল। বাজানোর পরে সবাই বুঝতে পারে নেসার আহমেদ চীট করেছেন বা চালাকি করেছেন।
এ ঘটনার জন্য ডিসি মেট্রো এলাকার সমস্ত বাঙালী কমিউনিটি নেতা ও সদস্যবৃন্দ তাগিদ দিয়ে আসছিল নেসার আহমেদের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির এ ঘটনার জন্য কোন সাংগঠনিক ব্যাবস্হা গ্রহন করা হেয়েছে কিনা এবং তা বার বার জানতে চেয়েছেন।
অনুস্ঠানের পরদিন বাগডিসি জরুরী বোর্ড সভার আয়োজন করে এবং বেশীরভাগ নেতাকর্মী নেসার আহমেদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের পক্ষে মতামত দেয়। এবং তার এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানায়। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় হলেও বাগডিসির কিছু সিনিয়র নেতা সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহনে গড়িমসি শুরু করে এবং ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করে।
এরপর এ নিয়ে অনেক মিটিং অনুষ্ঠিত হয় এবং সভায় গ্রাম্য সালিশির মত অনেক চক্ষু রাঙানো ও অশালীন আচরন করে তাদের উপর যারা নেসার আহমেদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা গ্রহনে অনড় থাকেন। বাগডিসির এই স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ তথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতি অশ্রদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীর প্রতি বাগডিসির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অকুন্ঠ সমর্থনের ফলে বাগডিসির নিম্নোক্ত নেতৃবৃন্দ গনহারে এবং একযোগে পদত্যাগ করেন ।
পদত্যাগকারী মধ্যে রয়েছেন বাগডিসির সাধারন সম্পাদক আবু সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রশিদ হারুন, সাংকৃতিক সম্পাদক হাসনাত সানি, কোষাদক্ষ নুসরাত জাহান, সহকারী কোষাদক্ষ তিলক কর, প্রেস সেক্রেটারি আকাশ রইস ও তিনজন কার্যকরি সদস্য প্রণব বড়ুয়া, পিংকি প্যাট, জাহিদ হাসান স্বপন উল্লেখযোগ্য।