রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কার্যালয়ে ঢুকে ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (স্বতন্ত্র) সামিউল আলীম চৌধুরীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে মোহম্মদপুরের জহুরি মহল্লায় এই হামলার ঘটনায় পুলিশ একটি রিভালবার ও গুলিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন-সাবেক ছাত্রলীগের নেতা মো. শাকিল ইসলাম রাব্বি, মেহেদী হাসান রনি, রিপন, ইমরান হোসেন, গৌতম রায় ও মো. সাইদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী সামিউল আলীম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মোহম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, এই হামলায় জড়িতরা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (আওয়ামী লীগ মনোনীত) মো. নুরুল ইসলাম রতনের কর্মী।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম রতন বুধবার রাতে বলেন, ‘ওই ঘটনায় জড়িতরা আমার সমর্থক বা কর্মী কেউ না। আমি করি আওয়ামী লীগ, ওরা করে ছাত্রলীগ লীগ। তাই উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এ অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী।’
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কাউন্সিলার প্রার্থী সামিউলের নির্বাচনী কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা চালাতে গেলে কয়েকজনকে গণপিটুনি দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি অবৈধ রিভালবার পাওয়া গেছে।’
ওসি বলেন, ‘উভয় পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শেষে কারা কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে তা বলা যাবে।’
কাউন্সিলর প্রার্থী সামিউল আলীম চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জহুরি মহল্লায় তার বাসভবনে তার নিবাচনী কার্যালয়ে ছিলেন। এ সময় গ্রেপ্তার ছয়জন ও বিহারী নাজিমসহ অচেনা ৭০ থেকে ৮০ জন হত্যার উদ্দেশ্যে আমি ও আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা সশস্ত্র হামলা করে। পরে স্থানীয়রা ছয়জনকে আটক করে পুলিশের সোপর্স করে। পালিয়ে যায় অন্যরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম রতনের সমর্থক।’
ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলেও জানান সামিউল আলীম।