ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যে আরো এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু সনাক্ত করা হয়েছে। আতঙ্ক বাড়িয়ে সোমবার ভারতের কেরালার কাসারগড়ে তৃতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের হদিস পাওয়া গেল। এরপরই এই ভাইরাসকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করল কেরালা সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, ‘‘রোগীদের হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ রাখা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে আক্রান্তদের।’’
কেরালার ইতোমধ্যে ‘আইসোলেশন’-এ রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল ১৭ জনকে। আজ কোট্টায়ামের বাসিন্দা আরও ২ জনকে সংক্রমণের আশঙ্কায় সরকারি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ পাঠানো হয়েছে। রুটিন পরীক্ষার সময়ে ওই দু’জনের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা যাওয়ায় তাদের হাসপাতালে পাঠান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই দু’জন দু’সপ্তাহ আগে চীন থেকে ফিরেছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। আমি নিজেও কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’
আজ চীন সফরে সতর্কতা জারি করে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির পরে কেউ চীন থেকে ফিরলে তাকে ‘কোয়ারেন্টাইন’-এ রাখা হতে পারে। জানুয়ারি মাসেই চীন থেকে ফেরা মিজোরামের দুই বাসিন্দাকে ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ত্রিপুরায় দু’টি বন্দর ও বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগরতলা চেকপোস্টেও বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ভর্তি দু’জন সন্দেহভাজন ভাইরাস-আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে বলে খবর। বছর কুড়ির ওই দুই যুবক সম্প্রতি চীনের উহান থেকে ছতরপুরে ফিরেছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক শিক্ষার্থী সম্প্রতি সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু রোববার সকালে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের আগেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর জেরে হাসপাতাল কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিন আগে চীন থেকে জবলপুরে ফেরা আর এক যুবককেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তারও খোঁজ নেই। আনন্দবাজার।