বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে অবৈধভাবে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জন করা হচ্ছে, এটি বন্ধ করা উচিত। মঙ্গলবার হাইকোর্টে করা এক রিটের শুনানিতে একথা বলেন আদালত।
পিএইচডি ও উচ্চতর উচ্চতর গবেষণাগুলোতে জালিয়াতির ঠেকানোর বিষয়ে একটি পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন চেয়ে গত ২৬শে জানুয়ারি রিট করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান লিংকন।
মিস্টার মনিরুজ্জামান জানান, স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থিসিস বা অভিসন্দর্ভ জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসার পর, তিনি এই রিটটি করেন।
মঙ্গলবার এর শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের যৌথ বেঞ্চ দুটি রুল ও দুটি নির্দেশনা দেয়।
হাইকোর্টের জারি করা রুলে, পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি জালিয়াতি রোধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া পিএইচডি অনুমোদনের আগে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তার যথার্থতা কেন নিরূপণ করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল দেয় আদালত।
আইনজীবী মিস্টার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পিএইচডি ডিগ্রি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বা সিন্ডিকেট ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল করবে তা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে।’
আদালতের নির্দেশনায়, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন দিচ্ছে তা কোন রুল বা আইন অনুসরণ করে দিচ্ছে তা জানতে চেয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিস জালিয়াতির যে ঘটনাটি ঘটেছে তার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তিনি তার গবেষণা অভিসন্দর্ভ ৯৮ ভাগ নকল করেছেন।
এনিয়ে বিস্তর সমালোচনা তৈরি হবার পর পর গত মাসে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়। সূত্র : বিবিসি