‘করোনা ভাইরাস’ নতুন এক আতঙ্কের নাম। চীন থেকে এ ভাইরাসের জন্ম। তবে কীভাবে তা এখনো জানা যায়নি। জানার চেষ্টা চলছে। চলছে এ রোগের প্রতিষেধক তৈরির কাজ। আর ভাইরাসটি যাতে চীনের বাইরে কোথাও ছড়িয়ে যেতে না পারে- তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতো সবের মধ্যেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের অনেক জায়গায়।
চীনে গতকাল মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে ৬৫ জন মারা গেছেন। ফলে আজ বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯০ জনে। এদের বেশিরভাগই উহানের। এ অঞ্চলেই ভাইরাসটির জন্ম। ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে অন্য জায়গাগুলোতে।
করোনা ভাইরাসে চীনের বাইরে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ফিলিপাইনে। উহান ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরার পর গত সপ্তাহে তিনি মারা যান। এরপর গতকাল হংকংয়ে আরো একজনের। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিও উহানে ভ্রমণ করে দেশে ফিরেছিলেন।
এছাড়া জাপানে একটি প্রমোদ তরীতে ১০ জনের করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। গতকাল আক্রান্ত একজনকে হংকংয়ে নামিয়ে দেয়ার পর সেখানে ভাইরাসটি পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকরা প্রবেশ করেন।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রমোদ তরীতে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ সাড়ে তিন হাজার যাত্রী এবং ক্রুকে এখনো পরীক্ষা করা হয়নি।
কেবল ২৩৭ জনকে পরীক্ষা করে ৩১ জনকে সন্দেহজনকের তালিকায় রাখার পর ১০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এখনো কার্নিভাল ক্রোপ জাহাজটির তিন হাজার সাত শ’ আরোহীকে পরীক্ষা করা বাকি।
একইদিন বেলজিয়ামে আরো একজনের করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। গত রোববার নয়জন উহান থেকে ফেরত আসার পর একজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাগি ডি ব্লক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে ২৪টি দেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। দেশগুলোতে ১৭৬ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষে চীনে নতুন করে তিন হাজার আট শ’ ৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার তিন শ’ ২৪ জন।
সূত্র : খালিজ টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল