উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে দুই মৌসুম নিষিদ্ধ হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। পাশাপাশি ম্যান সিটিকে ৩ কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭৬ কোটি টাকা) জরিমানাও করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
ক্লাবের আর্থিক নীতিভঙ্গের (এফএফপি) কারণে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে না দলটি। এর মধ্যেই অবশ্য সিদ্ধান্তটির পক্ষে উচ্চতর আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উয়েফার যে আর্থিক নীতি, সেটি মূলত ফিনান্সিয়্যাল ফেয়ার প্লে বা এফএফপি নামেই পরিচিত। ২০১১ সাল থেকে এই নীতি চালু হয়েছে। দল বদলের বাজারে কোনো দল যেন অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে না পারে সেটা দেখভাল করাই এই নীতির উদ্দেশ্য।
পেট্রো ডলারের আশীর্বাদধন্য ম্যান সিটির দিকে এফএফপির তির উঠছিল অনেক থেকেই। আমিরাতের শেখ জায়েদ আল মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করেছে সিটি। তবে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগে শাস্তি পেতে হয়নি তাদের। এবার শাস্তিটা বেশ বড়ই হয়েছে। ম্যান সিটি জানিয়েছে, তারা খেলাধুলার সর্বোচ্চ আদালত সিএএসের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আবেদন করবে।
এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় ম্যান সিটি বলেছে, এই রায়ে তারা বিস্মিত নয় মোটেই। তবে আপিল করার পর সাজা বদলাবে বলে তারা আশাবাদী। এর আগে নিষেধাজ্ঞা না পেলেও এফএফপি ভঙ্গের কারণে জরিমানা দিতে হয়েছিল দলটিকে। ২০১৪ সালে ২০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছিল তাদেরকে।
২০১৮ সালে জার্মান দৈনিক ডের স্পাইজেল উয়েফার বেশ কিছু দলিল ফাঁস করে। এরপর থেকেই ম্যান সিটির দিকে তির আসতে থাকে। সেখানে দেখা গেছে, ম্যান সিটির মালিক শেখ জায়েদ দলটির পেছনে বছরে যে অর্থ খরচ করেন, তার মধ্যে ৬৭ মিলিয়নের মতো আসে।
অথচ আরেকটি দলিলে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ সালে ইতিহাদের নামে ম্যান সিটিতে ব্যয় করা হয়েছে ৮ মিলিয়ন, বাকিটা এসেছে মনসুরের নিজস্ব কোম্পানি আবু ধাবি ইউনাইটেড থেকে। তথ্যের এই গরমিলের জন্য এখন শাস্তি পেতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটিকে।