রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা।
সাত তলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচের দুটো তলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল৷ বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে৷ ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের ধাক্কায়৷
পাশের সাকি প্লাজা নামের পাঁচ তলা ভবনের ওপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্থান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে৷ বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে৷
ব্র্যাক ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেছেন, ‘সিদ্দিক বাজার আমাদের যে শাখাটি রয়েছে, তার পাশের ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ সেই ধাক্কায় ব্যাংক ভবনের কাচ সম্পূর্ণ গুড়ো গুড়ো হয়ে নিচে পড়েছে৷ উড়ে আসা কাচের টুকরার আঘাতে কয়েকজন ব্যাংক কর্মী আহত হয়েছেন৷”
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানা এবং ঢাকার মিরপুরে রোডে ভবনে বিস্ফোরণের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বিস্ফোরণে প্রাণহানি ঘটল৷ সিদ্দিকবাজারে এতবড় বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে