বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ম্যাজিষ্ট্রেটসহ আরো তিনজনের সাক্ষগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তাদের সাক্ষ্য ও জেরা রেকর্ড করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী, সিআইডির আইটি শাখার ফরেনসিক অফিসার রবিউল ইসলাম ও রাজু মিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ৭২ জন সাক্ষ্য ও জেরা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
আদালতের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৮ জন আসামীর স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির বর্ণনা দেন। পরে তাকে আসামীপক্ষের আইনজীবিরা তাকে জেরা করেন।
সাক্ষ্য শেষে সিআইডি আইটি শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. বরিউল ইসলাম বলেন, আমি ১৮ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তার পাঠানো ফেসবুক বন্ড ০০৭ ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের আলামত, প্রোফাইল এর স্ক্রীনশট, লিংক, ডাটা ডাউন লোড স্ক্রীনশটের সফট কপি, পেন ড্রাইভে ভিডিও পরীক্ষা করে ১২৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ২৫ জুলাই বরগুনা প্রেরণ করি।
আরেক স্বাক্ষী রাজু মিয়া বলেন, আমি ৮ জুলাই সকালে বরগুনা সরকারী কলেজ রোডে মজিবরের দোকানে নাস্তা খেতে যাই। তখন পুলিশ রিফাত ফরাজিকে নিয়ে কলেজের সামনে আসেন। তখন রিফাত ফরাজির দেখানো মতে কলেজের ভিতর লাইট পোষ্টের কাছের ডোবা থেকে পুলিশ একটি দা উদ্ধার করেন। আমি সেই জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি।
আসামী পক্ষে ঢাকা থেকে আগত আইনজীবী মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা ম্যাজিষ্ট্রেটকে সাজেশন দিয়েছি যে, তিনি সঠিক ভাবে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করেননি।