ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘স্থায়ী কমিশন’ দেয়ার রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার উচ্চ আদালতের বিচারক ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচাপতি অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এ রায়কে ভারতীয়রা সেনাবাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে বলে মনে করছেন।
গণমাধ্যম দুটির খবরে আরো বলা হয়, ২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তিন বাহিনীতে নারীদের ‘পারমানেন্ট কমিশন’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, ‘মহিলাদের শারীরিক গঠনে’ সীমাবদ্ধতা ও লড়াইয়ে কঠিন পরিবেশেরকারণে সেনায় স্থায়ী পদে নিয়োগ দেওয়া অসম্ভব। এছাড়াও বলা হয়েছিল, নারী অফিসারদের কমান্ড পোস্ট বা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োগ করলে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করতে হবে। হাইকোর্টে রায়কে চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ ছিল পুরুষ সেনা কর্মীদের মানসিকতাও।
কিন্তু সোমবারের রায়ে শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় যে সমস্ত নারী ১৪ বছরের বেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের স্থায়ী কমিশনে শামিল করতেও কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেনায় নারীদের স্থায়ী নিয়োগ প্রসঙ্গে রায় পড়ে শোনানোর সময় এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের মানসিকতার তীব্র সমালোচনা করেন বিচারপতিরা। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের ‘দ্বিচারিতা’ রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, ‘হাইকোর্টের রায়ে অনুসারে সেনাবাহিনীতে নারীদের পারমানেন্ট কমিশন বলবৎ না করারক্ষেত্রে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তি নেই। ২০১১ সালেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও নির্দেশ মানা হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী আর বালাসুব্রহ্মনিয়ম ও আইনজীবী নীলা গোখেল।