নিউইয়র্ক সিটিতে নিম্নবিত্তদের বাস ও সাবওয়ে ভাড়া কমানোর প্রকল্পটি সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছেন সিটি কাউন্সিল স্পিকার অ্যাড্রিয়ানে অ্যাডাম্স। বুধবার বিকালে নিজের স্টেট অভ দ্যা সিটি বক্তব্যে এই প্রস্তাব দেন তিনি। কাউন্সিল স্পিকারের প্রস্তাবে নিউইয়র্কের ফেয়ার ফেয়ার্স প্রকল্পে নিবন্ধনের জন্য ন্যূনতম আয়ের সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পে নিবন্ধনের জন্য চার সদস্যের একটি পরিবারে ন্যূনতম আয় বছরে ৩০,০০০ ডলারের কম থাকতে হয়। স্পিকার অ্যাডাম্সের প্রস্তাবে চার সদস্যের পরিবারের জন্য ন্যূনতম আয় বাড়িয়ে ৬০,০০০ ডলার করা হয়েছে। একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফেয়ার ফেয়ার্স প্রকল্পে নিবন্ধনের জন্য ন্যূনতম বার্ষিক আয় ধরা হয়েছে ২৯,১৬০ ডলার। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত সিটির দুই লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দা তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন। স্পিকার অ্যাডাম্সের কার্যালয় পরিচালিত এক গবেষণা অনুযায়ী, তার প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সিটির ১৭ লাখ কর্মজীবী মানুষ এই প্রকল্পে নিবন্ধনের সুযোগ পাবে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি পরিচিত মুখ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা. নার্গিস রহমানের কন্যা, প্রবাসের উদীয়মান নৃত্যশিল্পী ‘নারমিন রহমান’ আর নেই। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নারমিন শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না
২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় নাজুক পরিস্থিতি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতের। ওই সংকটের পর ব্যর্থ হওয়া সব থেকে বড় ব্যাংক এখন ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি)। গত ৪০ বছর ধরেই
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কূটনীতিক ওসমান সিদ্দিক। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজার মামা পার্টি হলে বাংলাদেশ ক্লাব ইউএসএ’র উদ্যোগে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবারের এ উৎসবের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নুরুল আলম বাবু। ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শিবলী সাদিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নিউইয়র্ক মহানগরস্থ (উত্তর) স্ট্যাটার আইল্যান্ড ব্যুরো কমিটির এক কর্মী সভা গত রোববার স্টাটারআই ল্যান্ডস্থ একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতা শিবলী মামুনের সভাপতিত্বে ও জামিল আরিফের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপির আহবায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহিন চৌধুরী, যুগ্ম সদস্য সচিব ও স্ট্যাটার আইল্যান্ড বিএনপির সমন্বয়কারী কামরুল হাসান ও বিএনপি নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিনাজ আহমদ। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা শাহ আলম, রনি আহমদ, তানভির হোসেন, আজাদ ভূইয়া, আব্দুল করিম, জসিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন প্রমুখ । সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে নিউইয়র্কের সর্বত্র আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমদ ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানানো হয়।
নিউইয়র্কে চলমান ট্যাক্স মৌসুমে করদাতাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির হাত থেকে বাঁচতে হুঁশিয়ার থাকার আহবান জানিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল। মঙ্গলবার আলবানির নিজ কার্যালয়ে রাখা বক্তব্যে এই আহবান জানান তিনি। এসময় অনলাইনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং সামাজিক মাধ্যমে তথ্য শেয়ারের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন গভর্নর। বক্তব্যে হোকুল বলেন, বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে সবসময়ই এই বিষয়গুলোর চর্চা দরকারি হয়ে পড়েছে। তবে ট্যাক্স মৌসুমে সাইবার অপরাধীদের তৎপরতা অনেক গুণ বেড়ে যায় উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এ সময় অনলাইনে সতর্ক থাকার প্রয়োজনও তাই সমান হারে বৃদ্ধি পায়। নিউইয়র্কের করদাতাদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলতে বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্টেট অফিস অভ ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস। এসব প্রকল্পে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে ই-ফাইল এবং ট্যাক্স রিফান্ডের জন্য ডিরেক্ট ডেপোজিট ব্যবস্থা দুটোর ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
স্বষোষিত অভিবাসনবিরোধী সংগঠন ফেডারেশন ফর অ্যামেরিকান ইমিগ্রেশন রিফর্ম (ফেয়ার) পরিচালিত এক গবেষণার ফলাফল নিয়ে ডানপন্থী মিডিয়াগুলোয় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফক্স নিউজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ওই গবেষণার বরাত দিয়ে জানিয়েছে অবৈধ অভিবাসনের ফলে ২০২২ সালে ১৮২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে যুক্তরাষ্ট্রে মোট অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৫ মিলিয়ন। আর এই অভিবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে পাওয়া রাজস্বের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার। ফলে ২০২২ সালে অবৈধ অভিবাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ১৫১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছে ফেয়ার। “দ্যা ফিসকাল বার্ডেন অভ ইল্যিগাল ইমিগ্রেশন অন ইউনাইটেড স্টেট্স ট্যাক্সপেয়ার্স ২০২৩” শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী ক্ষতির এই পরিমাণ পাঁচ বছর আগের তুলনায় ৩০% বেশি ছিলো। ফেয়ার-এর গবেষকরা জানান, ২০১৭ সালে অবৈধ অভিবাসনের ফলে সরকার রাজস্ব আয় বাদে মোট ১১৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলো। অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসী এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাদের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুদের খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সরকারের এই খরচ হয়ে থাকে। ফেয়ার-এর গবেষণায় এই খাতগুলোর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্কুলগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তির উন্নয়নে ৬১টি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৩১ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল। মঙ্গলবার এই বিষয়ক রিভিউ বোর্ডের এক বৈঠক শেষে প্রকল্পগুলোর
নিউইয়র্ক সিটির ৪.২ বিলিয়ন ডলারের অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের তীব্র সমালোচনা করে মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিয়োগ করা ‘সীমান্ত জারের’ ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। অ্যাডামস সিটি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমন কাউকে প্রয়োজন, যিনি নিবেদিতপ্রাণভাবে ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ হ্রাস করার কৌশল গ্রহণ করবেন। এমন কারো প্রয়োজন যিনি এল পাসো, ব্রাউনসভিল, টেক্সাস এবং অন্যান্য স্থানে গিয়ে সারা দেশের চাপ কমানোর কৌশল গ্রহণ করবেন। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বলেন, অনেকেই বলে থাকেন যে চাপ হ্রাস করার কৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্টের ভূমিকা তার পদমর্যাদার চেয়ে অনেক বেশি। অ্যাডামস দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করছেন নাকি ভাইস প্রেসিডেন্ট যতটুকু কাজ সামাল দিতে পারবেন, তার চেয়ে তাকে বেশি দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দায়ী করছেন, তা স্পষ্ট করেননি। অ্যাডামসের প্রেস সেক্রেটারি ফ্যাবিয়েন লেভি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তবে হোয়াইট হাউজের সাথে অ্যাডামসের যোগাযোগের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, কমলা হ্যারিসের ব্যাপারে মেয়র বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে এ ব্যাপারে কমলা হ্যারিসের অফিস থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের মধ্যে তথা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলোতে থাকা ডেমোক্র্যাটদের মধ্যকার এই দৃশ্যমান বিভক্তির সুযোগটি কংগ্রেসের রিপাবলিকানরা গ্রহণ করছে। ইউএস রেপ. ক্লাউডিয়া টেনে বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সীমান্ত সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন।’ তিনি বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজের অযোগ্যতার, নেতৃত্বে অদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি আমাদের করদাতা ও বৈধ নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি সামাল দিতে পারেননি। অ্যাডামসের সমালোচনা করে টেনে বলেন, নিউইয়র্কের করদাতাদের বদলে অবৈধ অভিবাসীদের খাওয়াতে, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যা করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভিক্ষা করে আগুনে ঘি ঢালছেন। উল্লেখ্য, বাইডেন ২০২১ সালের মার্চে কমলা হ্যারিসকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসী সমস্যাটি সুরাহার দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু তিনি সাথে সাথে ওই এলাকা সফর করতে পারেননি। ফলে রিপাবলিকানদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার ওই এলাকায় যেতে তিন মাস সময় লেগেছিল। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের ক্যারিয়ার আরো কিছু হঠকারিতা এবং শীর্ষ স্টাফের পদত্যাগে সমালোচিত হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির অভিবাসন সঙ্কট সামাল দিতে মেয়র কী করতে চান- এই মর্মে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার পর তিনি কমলা হ্যারিসের এই সমালোচনা করলেন।