পরিভাষায় ঈমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) যা কিছু বলেছেন আস্থার সঙ্গে তার সত্যায়ন করা এবং তা মুখে স্বীকার করা ও তার আনুগত্য তথা কাজে বাস্তবায়ন করা। মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিকরা বলেন, ঈমানের মূল ভিত্তি যদিও বিশ্বাস স্থাপন করা। তবে মুখে স্বীকার ও আমল ছাড়া তা পূর্ণতা লাভ করে না। আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘ঈমান যদিও সত্যায়নের অর্থ ব্যক্ত করে।
তবে তা শুধু সত্যায়ন নয়। কেননা সত্যায়ন শুধু কোনো বিষয়ের সংবাদ প্রদানকে বলে। আর শুধু বিশ্বাসের সংবাদ প্রদানের নির্দেশ ইসলাম দেয়নি। ইসলামের নির্দেশ হলো ব্যক্তি তার বিশ্বাসের কথা প্রকাশ করবে এবং তার কাজের মাধ্যমে এটাও প্রমাণ করবে যে সে যা বলছে তা সত্যই বলছে। আর আনুগত্যের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়। ’ এ জন্য পবিত্র কোরআনে পরকালীন সাফল্যের পথ হিসেবে ঈমান ও আমলকে একত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে ও সত্কর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে ফিরদাউসের উদ্যান। ’ (সুরা কাহফ, আয়াত : ১০৭)
সুতরাং আমলে বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটলে ঈমানের পূর্ণতা অর্জিত হয়। শায়খ ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি মুখে বলে, আল্লাহর অস্তিত্ব আছে এবং তাঁর একজন রাসুলও আছে। কিন্তু সে আমল করে না। তার ঈমানকে যথাযর্থ বলার সুযোগ নেই। … এমনিভাবে ইসলামের কিছু বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং কিছু অংশ অস্বীকার করে শরিয়তের দৃষ্টিতেই তার ঈমানও গ্রহণযোগ্য নয়।