যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অভিবাসীদের আগমন ঠেকানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এসবের মধ্যে রয়েছে ল্যাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে মাইগ্রেন্ট প্রসেসিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা, ডির্পোটেশন বৃদ্ধি এবং বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ।
এদিকে বাইডেন প্রশাসন নতুন যে নিয়ম চালু করতে চাচ্ছে, তাতে বলা হয়েছে যে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে অভিবাসীদের আশ্রয় প্রাপ্তির মর্যাদা দেওয়া হবে না। মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে এতে করে অবৈধ অভিবাসন-প্রক্রিয়া হ্রাস পাবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা টাইটেল ৪২ নামের করোনাকালীন অভিবাসন-প্রতিরোধী আইন বাতিল করার উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষাপটে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাইডেন প্রশাসন। ওই আইনে আশ্রয়প্রার্থীদের বহিষ্কার করার ব্যবস্থা ছিল।
আগামী ১১ মে টাইটেল ৪২ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ওই আইন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর অভিবাসীদের ঢল নামবে। এমনকি দিনে ১০ থেকে ১৩ হাজার পর্যন্ত অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
এমনকি ইতোমধ্যেই অবৈধভাবে সীমান্ত ক্রসিং বেড়ে গেছে বলে এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, বর্ডার পেট্রোল কেবল মঙ্গলবারই ৭,৫০০ অভিবাসীকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখেছে। এটি মার্চের দৈনিক গড়ের চেয়ে ৪০ ভাগ বেশি।
ল্যাতিন আমেরিকায় যেসব প্রসেসিং সেন্টার চালু করার কথা রয়েছে সেগুলোতেই যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে প্রবেশ করার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে। এমনকি উদ্বাস্তুরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর কোথায় থাকবে, তাদের পরিবারের ভিসা প্রোগ্রাম, সাময়িক ওয়ার্ক ভিসা ইত্যাদি কাজও সেখানেই সম্পন্ন করা হবে।
ল্যাতিন আমেরিকার চোক-পয়েন্টগুলোতে হবে এসব সেন্টার। কলম্বিয়া ও গুয়েতেমালায় প্রথমে এসব সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।
এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্থনি ব্লিকেন ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেয়োরকাস বলেন, আঞ্চলিক প্রসেসিং হাবগুলো মাসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার অভিবাসীর কাজ সম্পন্ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রশাসন আরো জানিয়েছে যে তারা পরিবার পুনঃমিলন কর্মসূচিটি সম্প্রসারণ করবে। বর্তমানে এটি হাইতি ও কিউবান অভিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য। এটি কলম্বিয়া, গুয়েতেমালা, এল স্যালভাডর, হন্ডুরাসের অভিবাসীদের জন্যও চালু করা হবে।
বাইডেন প্রশাসন নতুন যে নিয়ম চালু করতে চাচ্ছে, তাতে বলা হয়েছে যে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে অভিবাসীদের আশ্রয় প্রাপ্তির মর্যাদা দেওয়া হবে না। মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে এতে করে অবৈধ অভিবাসন-প্রক্রিয়া হ্রাস পাবে।