শীতকাল ত্বকের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়। এ সময় ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হতে শুরু করে। এ কারণে এই মৌসুমে ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি হয়ে ওঠে।
শীতকালে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। সেসব সমস্যা থেকে ত্বক সুস্থ রাখার জন্য গ্লিসারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহারে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে৷ আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বককে তরতাজা রাখে গ্লিসারিন৷ শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থাকলে গ্লিসারিন আপনার সমস্যার আদর্শ সমাধান হতে পারে৷
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করে গ্লিসারিন৷ নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থেকে আর্দ্রতা হারিয়ে যায় না৷ ত্বকে ময়শ্চারাইজারে প্রলেপ তৈরি করে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে৷
চর্মরোগের ক্ষেত্রেও গ্লিসারিন ভালো কাজ করে৷ একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অসুখের ক্ষেত্রে গ্লিসরিন প্রাকৃতিক ওষুধ৷ ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে গ্লিসারিন৷
বিভিন্ন ভাবে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন৷ যেমন-
১. সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে নিন৷ মিশ্রণ রেখে দিন এয়ারটাইট কৌটোতে৷ এই মিশ্রণে তুলোর বল চুবিয়ে ওয়াইপ করে নিন মুখ৷ পরের দিন সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷
২. দুই চামচ মধুর সঙ্গে সম পরিমাণ গ্লিসারিন ও ওটমিল মেশান৷ ঘন মিশ্রণ তৈরি হলে সারা মুখ ও হাতে লাগিয়ে নিন৷ শুকিয়ে গেলে প্রথমে দুধ ও পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷
৩. চিনি, গ্লিসারিন, এসেন্সিয়াল অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন৷ তার পর মুখে মেখে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন৷ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ ত্বক হয়ে উঠবে কোমল।
৪. ফাটা গোড়ালির সমস্যায় সরাসরি ব্যবহার করুন গ্লিসারিন৷ এতে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন৷ ত্বক হবে মসৃণ ৷
৫. এন্টি এজিং মাস্কেও ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন৷ এজন্য একটা ডিমের সাদা অংশ, এক চামচ কর্নস্টার্চ, দু’ চামচ ভাতের ফ্যান, ১ চামচ গ্লিসারিন নিয়ে একটা পাত্রে ভাল করে মিশিয়ে নিন৷ এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন মুখে৷ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে শুকিয়ে নিন৷ তার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬. স্কিন ক্লেঞ্জার এবং মেক আপ রিমুভার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন৷ ২ চামচ গ্লিসারিন, অর্ধের লেবুর রস এবং ২ চামচ দুধ মিশিয়ে নিন৷ তুলোর বলে এই মিশ্রণ নিয়ে সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় লাগিয়ে নিন৷ তার পর ধুয়ে ফেলুন পানি দিয়ে।