আইনের শাসনহীন বাংলাদেশে নিরাপরাধ মানুষরা সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২২ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার শেরপুর জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর যে জুলুম চালাচ্ছে সেটির আরো একটি কু-নজীর স্থাপিত হলো মিথ্যা, হয়রানীমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারের পাঠানোর মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্যে যখন মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছে তখন অবৈধ আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য-নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের হিড়িক অব্যাহত রেখেছে।’
‘নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সংকট। ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সকল অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারী নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন,’ বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী কতৃর্ত্ববাদী সরকার আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
বিবৃতিতে মাহমুদুল হক রুবেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরো ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।