করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতি বাড়িয়েছে জঙ্গিরা। নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য চলমান লকডাউনে অনলাইন প্ল্যাটফরমে বেশি সময় কাটানো ব্যক্তিদের মধ্য থেকে টার্গেট নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জঙ্গিবাদ দমনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান মহামারীর কারণে এক প্রকার বাধ্য হয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রম কিছুটা সীমিত করতে হয়েছে। তবে শুধু জঙ্গি তৎপরতা নয়, এই লকডাউনের সময় চুরি-ছিনতাই ধরনের অপরাধও বাড়ছে। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এসব ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ নিকট অতীতে জঙ্গি-সন্ত্রাসের ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করেছে। এ দেশের মানুষ তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। তাই রাষ্ট্রকে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করতে হবে। ধর্মান্ধদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান বন্ধ করতে হবে এবং তাদের গতিবিধি কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। জঙ্গি সংগঠনগুলো কোনোভাবেই যেন মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, এদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, জঙ্গি তৎপরতা সরকারের জন্য ক্রমেই আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে। শুধু সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ সংগঠিত করতে হবে।