ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান তিনি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে আওয়ামী লীগ সভাপতি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন- তা নিয়ে চলে নানান আলোচনা।
সর্বশেষ খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন?
জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এই খবর ঢাকার সরকারি মহলকেও জানানো হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। ইতিমধ্যে ভারতে শেখ হাসিনা প্রায় ২ মাস ধরে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি কোন স্ট্যাটাসে দেশটিতে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়। ভারতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি।
একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি দিল্লিতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগায় দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে। সরকার পতনের পর দালালদের সহায়তায় ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের এই নেতা। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার আরব আমিরাতের আজমান সিটি সেন্টারে শামীম ওসমানকে ঘুরতে দেখেছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এ সময় তার সঙ্গে বোরকা পরিহিত দুজন নারীকেও দেখা যায়। তাদের তিনজনের হাতেই লাল সুতা বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি ভারতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাতে এই সুতা বেঁধেছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রবাসীরা জানান, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স হাতে শামীম ওসমান একটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় তিনি শপিং সেন্টারটিতে থাকা বাংলাদেশিদের ছবি তুলতে বারণ করেন।
শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারীদের মাধ্যমে জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ অনুসারীদের দুবাইয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে ওসমান পরিবার।
কেউ কেউ বলছেন, শেখ হাসিনাও হয়তো আরব আমিরাতে যেতে পারেন। তবে এ তথ্যের কোন সঠিক সূত্র পাওয়া যায়নি।