শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিপজ্জনক ‘চতুর্থ মাসে’ বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ জুন, ২০২০
  • ২৬৩ বার

করোনা সংক্রমণের চতুর্থ মাসে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এর ভয়াবহতা বেড়েছে। অর্থাৎ সেখানে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর তিন মাস পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিন মাস পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে সংক্রমণ শুরু হয়। বাড়তে থাকে মৃত্যু। শুরু হয় সর্বগ্রাসী সংকট। বাংলাদেশেও চতুর্থ মাসে পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণের যে উর্ধ্বমুখী ধারা তাতে আগামী এক মাস বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক সময়।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্স ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত পাকিস্তানসহ অনেক দেশে তিন মাসে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদিও চীন, স্পেন ও ইতালি ওই সময়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে শুরু করে।

বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পরীক্ষা কম হচ্ছে। তাই প্রকৃত চিত্র বোঝা যাচ্ছে না। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আক্রান্ত শুরু হয়েছে, তা বোঝা যায়। সে হিসেবে চতুর্থ মাস বাংলাদেশের জন্য বেশি বিপজ্জনক।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসের চিত্র দেখলে বাংলাদেশের অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকাকে তিন ভাগে ভাগ করে ভিন্নভাবে লকডাউনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এলাকাগুলোকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে, যেন চিহ্নিত জায়গাগুলোয় বিশেষ নজর দিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩৫ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ। মাসখানেক আগে গড় ৮ থেকে ১০ শতাংশ আক্রান্তের হার ছিল। এখন তা বেড়ে ২০ শতাংশের বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন রোগী পাওয়া যায়। এর পর কয়েক দিন রোগী যায়নি। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগী মারা যায় ১৮ মার্চ। দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই প্রথম দিকে কম ছিল। যতই দিন যেতে থাকল এর সংক্রমণ ও মৃত্যু ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করল। বর্তমানে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং ৩০ থেকে ৪০ জন মারা যাচ্ছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। এসব রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৬ জনকে পরীক্ষা করে। গেল ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো।

মার্চ : দেশে প্রথম তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওই দিন থেকে থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জন শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৫ জন। সুস্থ হয় ২৫ জন।

এপ্রিল : শুরুতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোগী সংখ্যা। এ মাসে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৬৪টি। শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬১৬, মারা গেছে ১৬৩ এবং সুস্থ হয় ১৩৫ জন।

মে : ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয় ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪টি। এর মধ্যে রোগী শনাক্ত হয় ৩৯ হাজার ৪৮৬ জন, মারা গেছে ৪৮২ এবং সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ৯১৬ জন।

জুন : ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৯ হাজার ৫৭টি। এসব নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৮১৯ জন, মারা গেছে ২৩৮ এবং সুস্থ হয়েছে ৪১২২ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষায় ৬৫ হাজার ৬৭৯ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই পর্যন্ত যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। যদি করোনা সংক্রমণের হার একই হয়ে থাকে রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ৬৪ লাখের বেশি। তবে সারাদেশে সংক্রমণ এক রকম নয়, সংক্রমণ কোথাও বেশি আবার কোথাও কম। বিশেষ করে করোনার সংক্রমণ রাজধানীসহ শহর এলাকায় বেশি।

আইইডিসিআরের সংক্রমণের বয়সভিত্তিক তথ্য বলছে, দেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে যুবকদের মধ্যে। সংক্রমিতদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৭ দশমিক ১০ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরে বয়সী ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছর বয়সী ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু ১৮ মার্চ। ওইদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত মারা গেছে ৮৮৮ জন। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মৃতের অঞ্চল ভিত্তিক তথ্য বলছে, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে রাজধানীর ২৬৬ জনসহ ঢাকা বিভাগের ৫২৬ জন, চট্টগ্রামে ২৩৭, ময়মনসিংহে ১৮, রাজশাহীতে ১৭, রংপুরে ২৩, খুলনায় ১৪, বরিশালে ১৯ এবং সিলেটে ৩৪ জন। করোনায় মৃতদের ৫৯ দশমিক ৩০ শতাংশ ঢাকা বিভাগে। বাকি সাত বিভাগের ৪০ দশমিক ৭০ শতাংশ। বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে খুলনায়, ১৪ জন।

একদিনে সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী মৃত্যুর রেকর্ড ৪২ জনের। এর আগে একদিন সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৪৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

গত একদিনে নতুন ও পুরাতনসহ মোট ১৩ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতদিন নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৮৪২টি। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয় ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। গতকাল দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের ৫৫টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা চালু থাকলেও আজ ৫২টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৭৪৩ জন শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭টি। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯০৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষ কয়েকটি দেশের তিন মাসের চিত্র তুলে ধরা হলো। সেখানে দেখা যায়, এখন শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র : আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০ জানুয়ারি। প্রথম তিন মাসে (১৯ এপ্রিল পর্যন্ত) সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ৬৭৩ জন। আক্রান্তের প্রথম মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেউ মারা যায়নি। তবে তিন মাস পর যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৩ জনে। মৃত্যুহার ছিল ৫.৯৩ শতাংশ। প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থতার হার ছিল ২৯.২৮ শতাংশ।

সংক্রমণের চতুর্থ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ছিল ৭৭ হাজার ৬৭৩ জন। অথচ এক মাসের ব্যবধানে ২০ মে (চতুর্থ মাস শেষে) এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০ জনে, মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৭৫০ জনে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানেই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। মৃত্যু বাড়ে দ্বিগুণেরও বেশি।

ব্রাজিল : আক্রান্তের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রথম তিন মাসে ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬১৮ জন। আক্রান্তের প্রথম মাসে (২৪ মার্চ পর্যন্ত) ২৪ জন মারা যায়। প্রথম দুই মাসে (২৪ এপ্রিল পর্যন্ত) মারা যায় ৩ হাজার ৬৭০ জন। আর তিন মাস শেষে (২৪ মে পর্যন্ত) এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭১৬ জনে। তিন মাস শেষে মৃত্যুহার দাঁড়ায় ৬.২৫ শতাংশ। সুস্থতার হার ৪৭.৪৭ শতাংশ।

রাশিয়া : আক্রান্তের সংখ্যায় সারাবিশে^ রাশিয়া এখন তিন নম্বরে। প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৩১ জানুয়ারি। প্রথম তিন মাস (৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) পর আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৮ জন। আক্রান্তের প্রথম মাসে রাশিয়ায় কেউ মারা যায়নি। তবে তিন মাস শেষে রাশিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৩ জনে। প্রথম তিন মাসে রাশিয়ায় মৃত্যুহার ছিল ১ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ছিল ১১.৯২ শতাংশ।

সংক্রমণের চতুর্থ মাসে (১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত) রাশিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেক বেড়েছে। চতুর্থ মাসে এই সংখ্যা ২.৭২ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৫ জনে। মৃত্যু ৩.৩৭ গুণ বেড়ে ৪ হাজার ৬৯৩ জনে।

স্পেন : আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে এখন চতুর্থ স্থানে। প্রথম শনাক্ত হয় ৩১ জানুয়ারি। প্রথম তিন মাসে (৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) আক্রান্ত হয় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪০ জন। এ সময়ে কেউ মারা যায়নি। তিন মাস পর স্পেনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৫৪৩ জনে। এই হিসেবে প্রথম তিন মাসে স্পেনে মৃত্যু হার ছিল ১০.২৫ শতাংশ।

যুক্তরাজ্য : পঞ্চম অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৩১ জানুয়ারি। প্রথম তিন মাসে (৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫৩ জন। প্রথম মাসে কেউ মারা যায়নি। তবে তিন মাস শেষে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৭৭১ জনে। এই হিসেবে মৃত্যুহার ছিল ১৫.৬৩ শতাংশ।

ভারত : সংক্রমণের সংখ্যায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা দেশটিতে রোগী শনাক্ত হয় ৩০ জানুয়ারি। প্রথম তিন মাসে (৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) শনাক্ত হয় ৩৪ হাজার ৮৬৩ জন। প্রথম মাসে কেউ মারা যায়নি। তিন মাস পর ভারতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৫৪ জনে। মৃত্যুহার ৩.৩১ শতাংশ। প্রথম তিন মাসে সুস্থতার হার ছিল ৩২.৪৬ শতাংশ।

চতুর্থ মাসে (৩১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে) আক্রান্তের সংখ্যা ৪.২১ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৮২৭ জনে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪০৮ জনে।

ইতালি : সপ্তম স্থানে থাকা ইতালিতে প্রথম শনাক্ত হয় ৩১ জানুয়ারি। তিন মাসে (৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২ লাখ ৫ হাজার ৪৬৩ জন। তিন মাসে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৭ জন। মৃত্যুহার ছিল ১৩.৬১ শতাংশ। সুস্থতার হার ছিল ৫০.৫৭ শতাংশ।

চীন ও পাকিস্তানের চিত্র : গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে বিশে^র প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল। প্রথম তিন মাসে (৩১ মার্চ পর্যন্ত) চীনে আক্রান্ত হয়েছিল ৮২ হাজার ৮৬২ জন। ওই সময় পর্যন্ত চীনে মারা গিয়েছিল ৩ হাজার ৩১২ জন। চতুর্থ মাসেই চীন সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। প্রথম তিন মাসে (২৬ মে পর্যন্ত) শনাক্ত হয়েছিল ৫৭ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ১৯৭ জন। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ৯৮ হাজার ৯৪৩ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ২ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com