শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

ডা. জাফরুল্লাহ এখনো ‘ঝুঁকিমুক্ত নন’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০
  • ২০২ বার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তিনি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন।

আজ শুক্রবার একটি সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি ও হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ ।

ডা. মামুন মুস্তাফি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সার্বিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। বর্তমানে দিনের বেশিরভাগ সময়ই তাকে অক্সিজেন দেওয়া লাগছে না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সর্বশেষ যে এক্স-রে রিপোর্ট, তাতে তার ফুসফুসের উন্নতি দেখা গেছে। নিউমোনিয়া থেকে তার ফুসফুসে যে ইনফেকশন, তা পর্যায়ক্রমে ধীর গতিতে ভালো হয়ে উঠছে। এর ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে যে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যদিও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ক্ষেত্রে এখনই বলে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই যে তিনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। কারণ ফুসফুস নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও তার আরও বেশ কয়েকটি শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। তার বয়স ৭৯ বছর, এটিও একটি কারণ। তার কিডনির প্রকট সমস্যা ও রক্তচাপ আছে। এ ছাড়াও, তিনি তো করোনায় আক্রান্ত। সেই কারণে আমরা বলতে পারি, তার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু, তিনি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মো. ফরহাদ বলেন, ‘প্রথম অ্যান্টিজেন টেস্টে দেখা গিয়েছিল, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাসের মাত্রা কমে যাচ্ছে। তিন দিন পরে আবারো টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্টে দেখা গেছে, তার শরীরে করোনাভাইরাসের মাত্রা আরও কমেছে। কিন্তু, একেবারে দূর হয়ে যায়নি ‘

চিরকুটের মাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন জানিয়ে গণস্বাস্থ্যের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গলায় ব্যথা থাকার কারণে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কথা কম বলছেন এবং চিকিৎসকরাও তাকে কথা কম বলতে বলেছেন। যে কারণে প্রতিনিয়ত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালসহ বাইরের আরও যে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি চিন্তা করছেন, চিরকুটের মাধ্যমে লিখে সেগুলোর ব্যাপারে চিকিৎসক, নার্সদের কাছে জানতে চাচ্ছেন। চিরকুটে লিখে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদনের সর্বশেষ অবস্থা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘চিরকুটের মাধ্যমেই সবাইকে বিভিন্ন কাজের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জন্য নগর হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমা কালেকশন মেশিন বসাতে বলেছেন।’

ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বিত বোর্ডের মাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসা চলছে। গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com