বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন এবং উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারী হিসেবে করোনায় মারা গেছেন ২৫ জন। একই সময় নতুন করে ১৮৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫৩ জন।
বুধবার দুপুর ১২টায় বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে চারজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে মারা যাওয়া দু’জন হলেন, আদমদিঘী উপজেলার পল্লী চিকিৎসক আবু বক্কর সিদ্দিকী ও শহরের রাজাবাজার এলাকার জুলফিকার আলী। বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাপাতালে মৃত দু’জন হলেন জাকির হোসেন ও আলী হাসান।
টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন, ধুনট হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত টেকনোলজিষ্ট ধুনট সদরের দাসপাড়ার চিত্তরঞ্জন দাস (৭০) ও ব্যাংক কর্মকর্তা আমদিঘীর চাঁপাপুর গ্রামের রাজিব কুণ্ডু।
বগুড়া করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাক্তার এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানিয়েছেন, ১২০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে মঙ্গলবার আটজন রোগী ছুটি দেয়ার পরেও আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৯৩ জন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় ৪০ বেডের করোনা ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত থাকলেও তা এখানো চালু হয়নি।
এ ব্যাপারে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, ৪০ বেডের করোনা ইউনিট চালু হতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিদিনের করোনা পরিস্থিতি সেদিন রাতের পরিবর্তে পরের দিন বেলা ১১টায় প্রকাশ করা হবে।
অপরদিকে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের কারণে বগুড়া পৌর এলাকার নয়টি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। রেড জোন এলাকায় আংশিক দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও অন্য সব কিছু প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে সংক্রমণ রোধ তেমন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী ও পদক্ষেপ দরকার। না হলে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।