সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

অস্ত্র মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৯৯ বার

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর তাপস কুমার পাল। তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আদালত সেই সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের সাজাই প্রদান করেছেন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারক রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন।

উল্লেখ্য, করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট ও ভুয়া নেগেটিভ ও পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ১০ টি মামলা হয়েছে। যে মামলাগুলোর মধ্যে অস্ত্র মামলায়ই প্রথম রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে আদালত।

রায়ের অস্ত্র গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে একই আদালত গত ২৭ আগস্ট এ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। তারও আগে গত ৩০ জুলাই এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট ও ভুয়া নেগেটিভ ও পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় ১০ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার ৭ দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার  প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com