ভারতের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল বাংলাদেশ। ভারতকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। শক্তিশালী ভারতকে তাদের মাটিতে হারানোর অসম্ভবকে সম্ভব করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন; মুশফিকদের জয়ে তার কথাই সত্যি হলো।
গতকাল রোববার বিকেলে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তখন তিনি ভারতকে হারানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
বিসিবি সভাপতি তখন বলেছিলেন, ‘ভারত অনেক শক্তিশালী দল সবাই জানে। আমাদের চেয়ে শক্তিশালী তো বটেই। ভারতে এসে ভারতকে হারানো অলমোস্ট ইম্পসিবল। কারণ আমরা বিগত খেলাও যদি দেখি অস্ট্রেলিয়া , দক্ষিণ আফ্রিকা বড় বড় দলগুলো ওরা এসেও হিমশিম খেয়েছে। ওরা দাঁড়াতেও পারেনি। কিন্তু একটা কথাও বলি ওদের (ভারত) দেশে এসে যদি কেউ ওদের হারাতে পারে সেটা বাংলাদেশ।’
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের পর মনে হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের কথাই সত্যি হলো।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তুলেছে ১৪৮ রান। টার্গেটে খেলতে নেমে তিন বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মুশফিকুর রহীম। ৩৫ বলে ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মারে তিনি এই রান করে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৭ বলে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।
এ ছাড়া সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। তবে ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস। তিনি মাত্র ৭ রান করেন। অভিষেকে খেলতে নেমেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তিনি ২৮ বলে ২৬ রান করেন।
এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে এলবির ফাঁদে পড়েন রোহিত শর্মা। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এর পর দলীয় ৩৬ রানের মাথায়
আমিনুল ইসলামের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ১৭ বলে ১৫ রান করা লোকেশ রাহুল। দলীয় ৭০ রানের মাথায় আবারও আঘাত হানেন লেগ স্পিনার আমিনুল। ফিরিয়ে দেন শ্রেয়ার্স আইয়ারকে। ১৩ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ২২ রান করে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
ম্যাচের ১৫তম ওভারে রানআউট হন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। বিদায়ের আগে এই ওপেনার ৪২ বলে করেন ৪১ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর একটি ছক্কার মার। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ভারত চতুর্থ উইকেট হারায়। ১০২ রানের মাথায় বিদায় নেন অভিষিক্ত শিভাম দুবে (১)। আফিফ হোসেনের বলে তারই হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই অভিষিক্ত।
ক্রুনাল পান্ডিয়া ৮ বলে ১৫ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। মোস্তাফিজ ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৩ ওভারে আমিনুল ২২ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। সৌম্য সরকার ২ ওভারে ১৬, মোসাদ্দেক ১ ওভারে ৮, মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আল আমিন ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। আফিফ হোসেন ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।