ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার আর তেমন কোনো অবনতি হয়নি। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, তার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে উদ্বেগ এখনো কাটেনি। এখনো পুরোপুরি সংকটমুক্ত নন কিংবদন্তি এই অভিনেতা। এমনটাই বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কের এমআরআইতে নেতিবাচক কোন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তার শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক নেই। চিকিৎসকদের আশা, ওষুধের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আজ তার ইকো, ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা করা হতে পারে। আরও একবার এমআরআই-ও করা হতে পারে। আগামীকাল নতুন করে তার করোনা পরীক্ষাও করা হবে জানা গেছে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপরই তাকে দ্রুত বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি কলকাতার মির্জাপুরে জন্মগ্রহণ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’র মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ভিতর ১৪টিতে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীতে তিনি মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো জনপ্রিয় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘দেবী’, ‘স্বরলিপি’, ‘সমাপ্তি তিনকন্যা’, ‘আগুন’, ‘বেনারসি’, ‘অভিযান’, ‘শেষ প্রহর’, ‘চারুলতা’, ‘বাক্স বদল’, ‘কাপুরুষ’, ‘কাচ কাটা হীরে’, ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’ উল্লেখযোগ্য।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই দিকপাল ২০১২ সালে পেয়েছেন ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার। এ ছাড়া পেয়েছেন দেশ বিদেশের বহু পুরস্কার।