শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন

‘গাড়ি নষ্ট’ দেখিয়ে সড়ক অবরোধ, পরে বিক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৪৮ বার

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সেনা কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও দেশটিতে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ থামছে না। বরং নতুন নতুন কৌশলে আন্দোলন নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গণতন্ত্রপন্থি এ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে। গতকাল বড় বুধবার সবচেয়ে বড় নগরী ইয়াঙ্গুনের প্রধান প্রধান সড়কে অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় অনেকে জানায় তাদের গাড়ি নষ্ট হয়েছে। খবর বিবিসি।

প্রথমে গাড়ি নষ্ট, এমন অজুহাতে দাঁড়িয়ে বড় সমাবেশ করে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: বিবিসি

বিবিসি জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনের প্রধান সড়কগুলোতে বহু গাড়ি অচল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার কেউ গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে কাজ করার ভান করছেন। কেউ জানিয়েছেন তেল ফুরিয়েছে, আবার কেউবা বলেছে, গাড়ি নষ্ট হয়েছে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি রিমান্ডের মেয়াদ বাড়ানোর পরদিন আন্দোলনকারীরা এ নতুন কৌশল প্রয়োগ করল। এতে নগরীজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল প্রায় দশ হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় অবস্থান করে। তাদের মধ্যে তরুণ-বৃদ্ধ, শ্রমিক, শিক্ষক, বৌদ্ধভিক্ষুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দেখা যায়।

মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকেই সেনাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে একদিন বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এর পর জাতিসংঘ হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বলা প্রয়োগ করা হলে ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। এর পরই মঙ্গলবার সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখবে না, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এ বিষয়ে তারা গ্যারান্টি দিয়েছে। যদিও নির্বাচনের কোনো তারিখ তারা ঘোষণা করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে এনএলডি নেতা অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টকে আটকে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে ব্রিগেডিয়ার তুন বলেন, তাদের আটকে রাখা হয়নি। বরং বিশৃঙ্খল এ সময়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের বৈদেশিক নীতিতেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সেটি এখনো আগের মতোই আছে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির দ্বার খোলা আছে। সেনাবাহিনীর এমন ঘোষণাতেও পিছু হটেনি আন্দোলনকারীরা। গতকালের বিক্ষোভ তারই প্রমাণ।

এদিকে আন্দোলন ঠেকাতে আইন সংশোধন করা হয়েছে। সেনা কৃর্তপক্ষ বলছে, কেউ সশস্ত্র বাহিনীর কাজে বাধা দিলে ২০ বছরের কারাদ- হতে পারে। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদ- বা মোটা অঙ্কের জরিমানা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com