করোনার তাণ্ডবে এক বছর পিছিয়ে গিয়েও অবশেষে সফল সমাপ্তি টানতে যাচ্ছে ইউরো-২০২০। ৫১ ম্যাচের মধ্যে ৪৮টি অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
বাদ পড়েছে— বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, জামার্নি আর বেলজিয়ামের মতো দলগুলো। চোখের সামনে ভাসছে দল ও খেলোয়াড়দের নানা পরিসংখ্যান।
সামনে মাত্র তিনটি ম্যাচ। দুই সেমি আর ফাইনাল। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে— এই ইউরোতে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে কে এগিয়ে?
সেখানে অবশ্যই গোল ও এসিস্ট সংখ্যা বিবেচ্য। সে হিসেবে এগিয়ে ছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের স্ট্রাইকারের পাত্রিক শিক ও পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
টুর্নামেন্টে ৫ গোল করে দুজনেই রয়েছেন গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে।
৪ গোল নিয়ে শিক-রোনাল্ডোর পেছনে অবস্থান করছেন তিনজন। বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু (৪), সুইডেনের এমিল ফর্সবার্গ (৪), ফ্রান্সের করিম বেনজেমা (৪)।
শিক ও রোনাল্ডোসহ তারা সhfই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাই কারও গোলের সংখ্যাই আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
সে অর্থে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে নাম লিখেছেন দুজনই— পাত্রিক শিক ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
ডেনমার্কের বিপক্ষে শিকের গোলটি এখনও আলোচনায়, যা নিয়ে রূপকথা লিখেছেন অনেকে।
সম্ভবত টুর্নামেন্ট শেষে সেরা গোলগুলোর অন্যতম হবে সেটি। ভ্লাদিমির সোফলের নিখুঁত ক্রসে ডেনমার্ক রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত ভলিতে বল জালে পাঠান পাত্রিক শিক।
এমন আকর্ষণীয় গোল শুধু এই ইউরোতেই নয়, সবসময়ই সেরার তালিকায় থাকবে। কিন্তু এমন দুর্দান্ত পারফরমের পরও গোল্ডেন বুটের দৌড়ে রোনাল্ডো থেকে পিছিয়ে গেলেন শিক।
উয়েফার নিয়ম বলছে— গোল সংখ্যা সমান হলেও গোল্ডেন বুটের সবচেয়ে বেশি অধিকার রোনাল্ডোরই।
২০০৮ ইউরোর আগে থেকে উয়েফা নিয়ম করেছে— দুই বা ততোধিক খেলোয়াড়ের গোল সংখ্যা যদি সমান হয়, তা হলে যে বেশি গোলে সহায়তা করেছেন, তিনি এগিয়ে থাকবেন গোল্ডেন বুটের দৌড়ে।
আর এখানেই বাজিমাত করেছেন সিআর সেভেন। পাঁচ গোল করার পাশাপাশি জার্মানির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দিওগো জোতাকে দিয়ে একটা গোলও করিয়েছেন। এখানেই এগিয়ে রোনাল্ডো।
আর শিক ৫ গোল করলেও তার এসিস্টে কোনো গোল হয়নি।