আলসেমি মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার পর শরীরে আলসেমি চলে আসাটা স্বাভাবিক। তবে শুধুমাত্র আলস্যের বশবর্তী হয়ে কাজকর্ম না করে বসে থাকাটা নিঃসন্দেহে দোষণীয়।
আলস্যের জড়তা থেকে মুক্তি পাবার জন্য নিয়মিত কর্ম অনুশীলনের পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে। কারণ আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আমাদের কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হয়না। নিচে আলসেমি থেকে মুক্তি পাওয়ার দুটি দোয়া উল্লেখ করা হলো-
اللهم إني أعوذ بك من الهم والحزن والعجز والكسل والجبن والبخل
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি।
অর্থ : হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে।
আলসেমি দূর করার আরেকটি দোয়া হলো-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াল মা’ছামি ওয়াল মাগরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আলসেমি, বৃদ্ধ বয়সের জটিলতা, সব ধরনের পাপাচার এবং ঋণের বোঝা থেকে আশ্রয় চাই।
যখনই মনে হবে আলসেমি পেয়ে বসেছে তখনই উপরোক্ত দুটি দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে হবে। কোনো কাজকর্ম করা ছাড়া শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে বসে থাকার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কর্মহীন তাওয়াক্কুল আসলে একটি বোকামি। এটা সাঁতার না শিখে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে দোয়া করে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার মতো।
তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা আল্লাহর ওপর থেকে তাওয়াক্কুল হারিয়ে ফেলবো। বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল তথা ভরসা করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কর্মপদক্ষেপ গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন।
তাই কেউ যদি আলসেমি দূর করে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ না করে শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে বসে থাকে, সে প্রকারান্তরে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করলো। এধরনের তাওয়াক্কুলের কোনো মূল্য নেই।