কুরআনে একটি আয়াত আছে, সুরা বাকারায়, আয়াত নম্বর ১৮৬,
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
আর আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, তখন বলে দিন যে নিশ্চয় আমি অতি নিকটে। আহ্বানকারী যখন আমাকে ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দিই। তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখো, একিন রাখো, এটা আমার হেদায়েতের তরিকা।
আল্লাহ পাকের একথা বলার অর্থ হলো যখন মানুষ তাকে ডাকে, তার ডাকের জওয়াব তিনি দেন। এটাই আল্লাহর অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
আল্লাহর রহমতে আমি একথা বলতে পারি যে, এমন বিষয় অনেক কথাই আমি জানি যা গোটা দুনিয়ায় আর কেউ জানে না। তো আমার এই জ্ঞান কোথা থেকে এসেছে? দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে।
ইবনে তাইমিয়াকে অনেক বড় স্কলার মানা হয় ইসলামের ইতিহাসে, তিনি বলতেন, يا معلم ابراهيم علمني. (হে ইবরাহিমের শিক্ষক, আমাকে জ্ঞান দিন।)
যখন কুরআনের কোনো কিছু উনি বুঝতেন না, তখন এই এই দোয়া করতেন। হে পরমসত্তা, আপনি ইবরাহিমকে (আ.) যা বলেছেন, আমাকেও তা-ই বলেন। ইবরাহিমকে (আ.) যেই জ্ঞান দান করেছেন, আমাকেও একই জ্ঞান দিন।
তো, এই দোয়া আমারও জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এমন অসংখ্যবার হয়েছে যে আমি এই দোয়া করেছি, এর পরক্ষণেই এমন জ্ঞান আমার মনে উদয় হয়েছে যা আগে আমি জানতাম না। তাহলে কীভাবে আমি জানলাম? আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে।
দেখুন, বিজ্ঞানে একটা বিষয় স্বীকার করা হয় যে এই জগতের সমস্ত মানুষ মিলেও একটা অণু সৃষ্টি করতে পারবে না। জগতে যত সংখ্যক অণু আছে, তত সংখ্যকই থাকবে।
আপনার জন্য সম্ভব না সেখানে নতুন একটা অণু যোগ করা। তো যেভাবে নতুন একটা অণু সৃষ্টি করতে পারেন না, তেমনই আপনি নতুন কোনো চিন্তাও তৈরি করতে পারবেন না। ওখানে যা আছে তা-ই থাকবে।
ওখানে কিছু যোগ করার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, আপনার নেই। ঠিক এভাবেই চিন্তার ক্ষেত্রে আপনার কাছে যা আছে তা তো আছেই, নতুন কিছু কেবল আল্লাহর তরফ থেকেই যোগ হয়।
তাই আপনি যদি দোয়া করেন, এমন অনেক কিছুই পাবেন যা এমনিতে আপনার জন্য কোনোদিন পাওয়া সম্ভব না।