পবিত্র কোরআন শরীফ একদিনে নাযিল হয়নি। বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ রুপে নাযিল হওয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যখন যতটুকু দরকার আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছে মানবতার মুক্তির জন্য। কখনো বাজারে আয়াত নাযিল হয়েছে, আবার কখনো যুদ্ধক্ষেত্রেও নাযিল হয়েছে। আর এই পবিত্র কোরআন অনুসরণ করেই পৃথিবীর সফল মানুষ হয়েছেন বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
ওলীয়ে কামেল হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. এর ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে হোটেল জি টাওয়ারের বলরুমে কায়েদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বর্তমান সময়ে আলোচিত ইসলামিক স্কলার শায়খ ড. মিজানুর রহমান আজহারি। মালয়েশিয়াস্থ কায়েদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ড. ফয়জুল হক এর সভাপতিত্ব করেন।
মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, পবিত্র রমাদানের এই মাসে বেশি বেশি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। রাসুল (সাঃ) এর বড় মোজেযা হলো মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। পবিত্র কোরআন একদিনে, এক সময়ে নাজিল হয়নি বরং সময় নিয়ে বিশ্ববাসীর প্রয়োজনে রাসুল (সাঃ) এর উপরে অবতীর্ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোরআন তেলাওয়াত ও কোরআনের হাফেজ তৈরির মাধ্যমে কোরআনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। হাদিসে আছে, তোমাদের মধ্যে তারাই সর্বশ্রেষ্ঠ যারা পবিত্র কোরআন নিজে শিখে এবং অন্যদেরও শিক্ষা দেয়। কোরআন তেলাওয়াত করলেও সওয়াব, শুনলেও সওয়াব এমনকি পরতে না পারা মানুষ যখন কষ্ট করে তেলাওয়াত করে, তখন তিনি আরো বেশি করে সওয়াব পেয়ে যান। মুসলমান হয়েও কোরআন শরীফ না পড়লে আল্লাহ তায়ালার কাছে কী জবাব দেবেন? বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে অর্থসহ কোরআন পড়া খুবই সহজ। এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন থেকে অ্যাপস্ ডাউনলোড করে কোরআন পড়া, শেখা ও অর্থ বুঝা যায়।
এ সময় আজহারি বলেন, অনেকেই গাড়ির ভেতরে যাত্রা পথে গান ছেড়ে দিয়ে শুনেন। এটা না করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শুনতে পারেন। আর আমার কোনো গাড়ি নেই। অনেকেই বলে থাকেন, আজহারি হুজুরের লেমবোরগিনি গাড়ি আছে, একাধিক বাড়ি আছে। আসলে এসব কিছুই আমার নেই।
ড. আজহারি হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. এর ঐক্যনীতি নিয়ে দেশবাসীকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। কায়েদ সাহেব হুজুরের রেখে যাওয়া কাজগুলোকে কোরআন ও হাদীসের আলোকে পরিচালনার আহবান জানান আজহারি।
ইফতার মাহফিলের সভাপতি ড. ফয়জুল হক সমাজের অপসংস্কৃতি রোধে ইসলামের আলোকে কাজ পরিচালনা এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন। তিনি হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. এবং ড. আজহারি সাহেবদের কাজগুলোকে রাসুল স. এর অনুসৃত পথ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের মতো মানুষ তৈরিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
পিএইচডি গবেষক আলমগীর চৌধুরী আকাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে তেলাওয়াত ও সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় ইনফিউশন শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা। আলোচনা করেন পিএইচডি গবেষক জনাব মেছবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা প্রদানের জন্য কায়েদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আলোছায়া রেস্টুরেন্টের মালিক জনাব রাসেল রানা, ব্যাবসায়ী মিনহাজ মন্ডল, ইকবাল হোসেন, হাজী মোঃ বাদল, মোঃ হুমাউন, এনায়েত, আব্দুল মুবিন ভূইয়া, আলী আমজাদ খান, সায়্যেদ নাছির আহমেদ, মোঃ রাজু , মোঃ রমজান, এসএম আব্দুল আজিজ, হিমেল, কমিউনিটি লিডার মোশাররফ হোসেন, এমজে আলম, দাতো মোহাম্মদ সেলিম, রাশেদ বাদল, ড. রফিকুল ইসলাম, মঞ্জু খা, গোলাম কবির,
সেচ্চাসেবক লিডার পিএইচডি গবেষক রফিক মোল্লা, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সাংবাদিক নেতা আশ্রাফুল মামুন, রিয়াজ মাহমুদ এবং ওয়ালিদকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।