রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরক থেকে দূরে থাকতে হবে

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১২ বার

শিরক একটি আরবি শব্দ যার অর্থ অংশ। ইসলামী পরিভাষায় সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করা, কাউকে তাঁর সমকক্ষ ভাবা কিংবা অংশীদার করাকে শিরক বলে। এটি একটি জঘন্য অপরাধ এবং কবিরা গুনাহ। মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা শিরককে বড় মিথ্যা এবং জুলুম বলে আখ্যায়িত করেছেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে বলা হয়েছে- আল্লাহ তার বান্দার যে কোনো গুনাহকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু শিরকের গুনাহকে ক্ষমা করেন না। আমাদের সমাজে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন পন্থায় শিরক করা হয়ে থাকে। মানুষ পাথর, অগ্নি, গাছ ও কবর পূজা ইত্যাদির মাধ্যমে শিরক করে। তা ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, বিবাহশাদি, রোগ-শোক, আয়-রোজগার ইত্যাদির ক্ষেত্রেও বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন পন্থায় শিরক করা হয়। শিরক চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ১. আল্লাহর মূল সত্তায় শিরক, ২. আল্লাহর গুণাবলিতে শিরক, ৩. আল্লাহর অধিকারে শিরক, ৪. আল্লাহর এখতিয়ারে শিরক। পবিত্র কোরআনে শিরকের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে- এটি একটি ক্ষমাহীন অপরাধ। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সঙ্গে কাউকে শরিক করে। এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং কেউ আল্লাহর সঙ্গে শরিক করলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়। তারা তার পরিবর্তে শুধু দেবীরই পূজা করে এবং বিদ্রোহী শয়তানের পূজা করে।’ (৪-সুরা নিসা : ১১৬-১১৭)। যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে মানে তারা পথভ্রষ্ট। ইরশাদ করা হয়েছে- স্মরণ কর, যখন ইবরাহিম তার পিতা আজরকে বললেন : ‘তুমি কি প্রতিমাগুলোকে উপাস্য মনে কর? আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি ও তোমার সম্প্রদায় প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট।’ (৬ সুরা আনয়াম : ৭৪)। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। শিরকমুক্ত ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান করতে পারে।

সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে দুনিয়ার বুকে প্রথম নবীর আগমন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের মাধ্যমে পৃথিবীতে নবী রসুলের আগমন পর্বের সমাপ্তি টানা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর পৃথিবীতে আর কোনো নবী আসবেন না। তিনি হলেন বিশ্ববাসীর জন্য মনোনীত নবী। কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ পৃথিবীতে আসবে তারা তার উম্মতের মধ্যেই গণ্য হবে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার এ মহান জিম্মাদারি তার উম্মতের মধ্যে যারা কোরআন হাদিসের জ্ঞানে জ্ঞানী তাদের ওপর দিয়েছেন। মহানবীর আগে যে হাজার হাজার নবী রসুল এসেছেন তাদের বিশেষ সম্প্রদায়ের নবী রসুল হিসেবে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আখেরি নবীর আগমন ঘটেছে সমগ্র মানবজাতির জন্য। ইরশাদ করা হয়েছে- ‘হে নবী আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।’ (২১ সুরা আম্বিয়া : ১০৭)।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com