রংপুর পার্কের মোড়ে কার্গো ট্রাকচাপায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কার্গো ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রংপুর শহর থেকে ছেড়ে একটি কার্গো ট্রাক পার্কের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে আগাতে থাকে। এতে খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ও সিসিটিভি ক্যামেরা রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তারিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনাসহ পাঁচ-সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কার্গোটির পিছু ধাওয়া করে পার্কের মোড়ে আটক করে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা কার্গো ট্রাকটিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে নিয়ে যায় এবং চালক এনামুল ও হেলপার আল-আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক নুরুজ্জামান খান জানান, ওই ঘটনায় আহত বাংলা বিভাগের তারিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবরিনাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের একজনের মাথায় একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
এ ঘটনায় তাজহাট থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম জানান, এঅবিযুক্ত কার্গো ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদির জানান, আটক দু’জনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। কার্গো ট্রাকটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। খুঁটিতে থাকা সিসি ক্যামেরাসমূহ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রক্টোরিয়াল বডি, ছাত্রলীগ নেতাসহ পুলিশের উপস্থিতিতে আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ, সিসিটিভি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন এবং পার্কের মোড়ে স্পিড ব্রেকার দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। দাবি পূরণ করা না হলে আবারো আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।