পিরোজপুরের নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গুলি বিনিময়, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে নাজিরপুর সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে ঘটনাটি ঘটে।
গুলিতে মো: রশিদ শেখ (৪২) নামের এক যুবলীগ নেতাসহ উভয় গ্রুপের ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গ্রুপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে এম এ আউয়াল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মন্ত্রী গ্রুপের উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রশিদ শেখ (৪২), জুয়েল শেখ (১৮), মেজবাহ হাওলাদার (৩০), সোহাগ মৃধা (৪০), আখতারুজ্জামান শিকদার (৫৫), সুবোধ মিস্ত্রী (৪২), এনামুল শেখ টুকু (২৬), জাকারিয়া বেপারী (৩০), উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো: তরিকুল ইসলাম তাপস (৩৫), নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার (৫৫) এবং আউয়াল গ্রুপের শাওন (৩০), নিক্সন (২৩), জাকির হোসেনসহ (২৮) ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গুলিতে আহত রশিদ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার কৌশিক সাহা জানান, আহত ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি গঠনের জন্য বঙ্গমাতা কলেজের দোতালার একটি কক্ষে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। এ সময় আমরা ওই ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ওই সময় পিরোজপুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্যদের সাথে আসা ক্যাডার বাহিনীর এক যুবক তার সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়ে। ওই গুলিতে যুবলীগ নেতা রশিদ আহত হন। একই বক্তব্য আহত রশিদেরও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা মাইক্রোবাস ভাংচুরসহ প্রতিপক্ষের ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করা হয়।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হুমায়ুন কবির জানান, আমি কাউকে গুলি করতে দেখিনি। তবে গুলি করা হয়েছে বলে কয়েকজন চিৎকার করে দৌড় দেয়। পরে হামলা ও সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।