যুক্তরাষ্ট্র ‘আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করেছে’ যে ইউক্রেনে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ কথা ঘোষণা করেছেন।
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে শনিবার বক্তৃতাকালে কমলা হ্যারিস হামলার পর থেকে ইউক্রেনে ‘ভয়াবহ মাত্রায় খুন, নির্যাতন, ধর্ষণ ও বিতাড়নের’ কাজ করার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন।
সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান।
এতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এখন সময় এসেছে সামরিক সহায়তা ‘দ্বিগুণ করা।’
রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার হামলা শুরুর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ওই হামলা শুরু করে।
সম্মেলনে হ্যারিস বলেন, ইউক্রেনে কথিত রুশ অপরাধের সাথে জড়িতদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ ও আমাদের অভিন্ন মানবতাবোধের ওপর হামলা।’
জাতিসঙ্ঘ মানবতাবিরোধী অপরাধকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ‘ব্যাপক বা পরিকল্পিত হামলা’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
মস্কো তার হামলাকালে বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
কমলা হ্যারিস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার কার্যক্রম আমরা প্রমাণের ভিত্তিতে পরীক্ষা করেছি, আমরা আইনগত মানদণ্ড জানি। ফলে কোনো সন্দেহ নেই যে এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধের সময় ‘বর্বোরোচিত ও অমানবিক’ নৃশংসতার কথা বলেন।
বাইডেন প্রশাসন গত মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে যে রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি