যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। এবার ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ। এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল ভোটে বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া। অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান। অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হয়েছেন।
ইসরায়েলিদের সমর্থন করা যুক্তরাষ্ট্রেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা।
প্রাক্তন হামাস প্রধানের বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের আহ্বানের পর শুক্রবার নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) সদস্যদের ইউনিফর্ম পরে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবিসি নিউজ এবং অন্যান্য নিউজ আউটলেটগুলি দ্বারা প্রাপ্ত একটি অভ্যন্তরীণ
নিউইয়র্ক রাজ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সর্বোচ্চ সিগারেট ট্যাক্স কার্যকর হয়েছে। ২০ টি সিগারেটের প্যাকেটের উপর কর ১ ডলার বৃদ্ধি করায় ৪.৩৫ ডলারের প্যাকেট এখন ৫.৩৫ ডলার হয়েছে। ২০১০
ফেন্টানিল একটি গুরুতর মাদক, যা চিকিৎসা সেবায় প্রাথমিকভাবে ব্যথানাশক ও চেতনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় ও এটি ক্যান্সারের রোগী ও অত্যন্ত ব্যথাদায়ক সার্জারির পর নিরাময়ের ক্ষেত্রে মরফিনের কার্যকারিতার চেয়ে ৫০-১০০ গুণ
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যের পর এবার নিউইয়র্কে নাটক ‘দুই দুগুনে চার’ মঞ্চস্থ হয়েছে। একইসাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘একটি ভালবাসার সন্ধ্যা’। নিউইয়র্কের উডসাইডের কুইন্স প্যালেসের মিলনায়তনে ৯ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় ‘ড্রামা অ্যান্ড কালচারাল নাইট’ শীর্ষক এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক এডামসের এশিয়া বিষয় উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মানের উদ্যোগে এ দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাট্যকার ও অভিনেত্রী জিনাত হাকিমের লেখা ও পরিচালনায় ‘দুই দুগুনে চার’ নাটকটি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মঞ্চস্থ হয়। এবারে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের জন্য মঞ্চস্থ করা হল এ নাটক। এতে অভিনয় করেন মির্জা নুর, নাজাহ, তারিন জাহান, জিনাত হাকিম, আজিজুল হাকিম, রিচি সোলায়মান, অলিক, লায়লা হাসান ও কামাল। নাটকের আগে ‘একটি ভালবাসার সন্ধ্যা’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠানে গানে করেন বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী প্রতীক হাসান ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী ত্রিনিয়া হাসান। অনুষ্ঠান দুটি উপস্থাপনা করেন ফাতেমা প্রিসিলা ও মিয়া মো. দুলাল। অনুষ্ঠান দুটির স্পন্সর ছিল সারাহ গ্রুপ, গিয়াস আহমেদ, শাহ জে চৌধুরি, নুরুল আজিম, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ার, বারি হোম কেয়ার, রহমান মালিক, সিলেট মোটরস, বড় বাজার, বাংলা ট্রাভেলস, মামা’স রেস্টুরেন্ট, সারাহ হোম কেয়ার, নূর গ্রাফিক ডিজাইন ইনক, ইফিশিয়েন্ট মেডিকেল কেয়ার পিসি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমব্রেলা সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির এক লাখ ৬৫ হাজার ডলার হ্যাকের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বড় ধরণের চক্রান্তের শিকার হয়েছে সোসাইটি। প্রথমে ৫ হাজার ডলারের চেক জালিয়াতির
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ লিপ্ত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি ইরান সমর্থিত লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে স্মার্ট হিসেবে
নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইসরাইলে হামাসের রক্তপাত সত্ত্বেও এই নগরীতে কোনো ধরনের স্থানীয় হুমকি নেই। তবে তা সত্ত্বেও যেসব স্থানে ইহুদি লোকসংখ্যা বেশি আছে, সেখানে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, উইলিয়ামসবার্গ, বোরো পার্ক, রকওয়েস এবং ফ্ল্যাটবুশসহ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ সদস্য বাড়ানো হয়েছে। এসব এলাকায় ইহুদিদের বসবাস রয়েছে। তাদের পোশাক এবং অন্যান্য নিদর্শনের কারণে তাদের ধর্মীয় পরিচিতি সহজেই বোঝা যায়। মেয়র অ্যাডামস বলেন, ‘আমরা জানি, এখানে আমাদের বেশি নজর দেওয়া দরকার। আমরা এ ব্যাপারে খুবই সচেতন, পুলিশ বিভাগ কাজটি করছে।’ এনওয়াইপিডির টহল বিভাগের প্রধান বলেন, নিউ ইয়র্ক সিটি বা আশপাশের এলাকায় ইহুদিদের টার্গেট করে কোনো হুমকি পাওয়া যায়নি।
নিউইয়র্কের শিশুদের টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম সাইটের ‘আসক্তিজনক’ ফিচার থেকে দূরে রাখতে আইন প্রণয়নের কথা ভাবছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল এবং রাজ্যের আইনপ্রণেতারা। গভর্নর হোকুল ঘোষণা করেন, শিশুরা যাতে সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলোর টার্গেট করা অ্যালগোরিদম থেকে দূরে রাখা যায়, সেজন্যই নতুন আইন করা হচ্ছে। এসব সাইট চরম এবং অনেক সময় সহিংস কন্টেন্ট অবাধে প্রকাশ করে ব্যবহারকারীদের সম্ভব বেশি সময় সম্পৃক্ত রাখে। নতুন আইনে বলা হয়েছে যে অ্যালগোরিদমে নিয়ন্ত্রিত টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো অ্যাপসগুলোর কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে শিশুদের তাদের মা-বাবার অনুমতি লাগবে। এই বিধিনিষেধ কার্যকর করার দায়িত্ব পালন করবে টেক কোম্পানিগুলোই। আর অ্যাটর্নি জেনারেল এই নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা করবে, আইন পালন করতে যা যা করা দরকার, সবই করবে। গভর্নর হোকুল বলেন, ‘এসব শিশুকে আসক্ত করতে সামাজিক মিডিয়া এবং অ্যালগোরিদম বিরামহীনভাবে যেসব জিনিস দিচ্ছে, তা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা এজন্য অনুমতি চায় না।’ তিনি বিভিন্ন সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন যে ‘এগুলো অনুমতি চায় না।’ অথচ অতিরিক্ত ব্যবহার করা হলে এগুলো শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। গভর্নর বলেন, ‘এটি প্রাণঘাতী সরঞ্জাম হতে পারে। এটি কোনো অতিরঞ্জিত কথা নয়।’ উপস্থিত নেতারা বলেন, তারা মনে করেন যে এই আইনের ফলে সামাজিক অ্যাপসগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস বলেন, ‘সামাজিক মিডিয়া কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীর বয়স নির্ধারণ করতে নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে। তারা ব্যবহারকারীর ব্রাউজার শনাক্ত করতে পারে। আমরা তাদের বলছি যে এই অ্যালগোরিদম শিশুদের ওপর ব্যবহার না করতে।’ তবে সার্ভেইল্যান্স টেকনোলজি ওভারসাইট প্রজেক্ট (এসটিওপি) নামের একটি নজরদারি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, বয়স যাচাই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হলে তারা আমাদের সবাইকে অনুসরণ করার আরো ক্ষমতা পেয়ে যাবে। আর শিশুরা সম্ভাব্য সুরক্ষা নানাভাবে পেয়ে যাবে। এসটিওপির নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট ফক্স কান বলেন, বিধিনিষেধ এড়িয়ে যাওয়ার নানা টুলস ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে আমাদের পরিচিতি শনাক্ত করতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত ভয়াবহ সব উপায় অবলম্বন করছে। প্রস্তাবিত আইনে ১৮ বছর বয়সের নিচের শিশুদের সামাজিক মিডিয়ার অ্যাপসগুলোতে প্রবেশ করতে তাদের মা-বাবার অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শিশুরা যাতে মধ্য রাত থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে থাকতে না পারে, সেজন্যও পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। শিশুরা দিনে মোট কত ঘণ্টা অ্যাপস ব্যবহার করছে, সেটাও তার মা-বাবা জানতে পারবে। এসব বিধিনিষেধ অমান্যকারী কোম্পানিকে প্রথবার পাঁচ হাজার ডলার করে জরিমানা করতে পারবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আর শিশু ও তার অভিভাবকেরা নিয়ম লঙ্ঘনকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিবারের জন্য পাঁচ হাজার ডলার দাবি করে মামলা দায়ের করতে পারবেন। রাজনীতিবিদরা বলেন, কিশোরীদের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সামাজিক মিডিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত সময় ব্যয় করাটা মদ্যপান, যৌন আক্রমণ, স্থ’ূলতা এবং ড্রাগ ব্যবহারের চেয়েও খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করে। কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমান হারে সামাজিক মিডিয়ায় থাকার ফলে শিশুদের মধ্যে বিষণœতা, উদ্বেগ, আত্মহত্যার চিন্তা, কম ঘুম এবং নিজের ক্ষতি করার মতো প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এদিকে টিকটক বলেছে, তারা সমাজের, বিশেষ করে শিশুদের সুরক্ষিত ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহায়তা করে যাবে।