নিউইয়র্কে উৎসব আমেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশী এমপ্লয়িস অব এনওয়াইসিটিএ-এমটিএ’র বার্ষিক বনভোজন ২০২৩। গত ২৩ আগস্ট রোববার নিউইয়র্কের ইয়র্কটাউন হাইটসে এফডিআর স্টেট পার্কে চমৎকার আবহাওয়ায় দারুণ জমে উঠেছিল বর্ণাঢ্য এ বনভোজন।
পরকীয়ায় লিপ্ত দুজন হাতেনাতে ধরা পড়লেন উভয়ের স্বামী-স্ত্রীর কাছে। শুধু তাই নয়, এই দুই প্রেমিক-প্রেমিকার ঘনিষ্ঠজনদেরও ফোন করে জড়ো করা হয় পরকীয়ার স্থান প্রদর্শনের জন্য। এরা হলেন ফোবানার বহিষ্কৃত নেতা
আমেরিকায় পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিপোর্টেশন আতংক বিরাজ করছে। অনেকে দেশে গিয়ে আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারেন নি। জেএফকে থেকে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ফেরত পাঠানো অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের
ফোবানার স্ট্রিয়ারিং কমিটির এক্সিকিউটিভ মেম্বার সেক্রেটারি থেকে শাহ নেওয়াজকে অব্যাহাত দেওয়া হয়েছে। তার স্থানে নতুন করে এক্সিকিউটিভ মেম্বার সেক্রেটারি করা হয়েছে জিআই রাসেলকে। গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোবানার চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. মাসুদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু জোবায়ের দারা, তৈয়মুর জাকারিয়া, খন্দকার ফরহাদ, ওয়াহিদ কাজী এলিন, সৈয়দ এনায়েত আলী, জি আই রাসেল, কিউ জামান, তারিক হাসান খান, জাহাঙ্গীর জয়, সৈয়দ মিল্লাত, শাহাদাত হোসেন রাজু এবং টেলিফোনে যোগ দেন আতিকুর রহমান সালু প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, ফোবানার স্ট্রিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদের সভাপতিত্বে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ হোসেনের পরিচালনায় ফোবানার স্ট্রিয়ারিং কমিটি, টরেন্টো ফোবানার হোস্ট কমিটির নেতৃবৃন্দের যৌথসভা নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় শাহ নেওয়াজকে সাংগঠনিক এবং সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপের জন্য অব্যাহতি দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি ফোবানার তিনবারের আহ্বায়ক এবং ফোবানার স্ট্রিয়ারিং কমিটির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান জিআই রাসেলকে ফোবানার স্ট্রিয়ারিং কমিটির কার্যকরি সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। ফোবানা সম্মেলন নিয়ে তারা বলেন, স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ফোবানা সম্মেলন হবে এবার কানাডার টরন্টো শহরে। আগামী ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর টরন্টো শহরে ৩৭তম ফোবানার সম্মেলন মহাসম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন ফোবানা স্ট্রিয়ারিং কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং টরন্টো হোস্ট সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি এবং ফোবানা সম্মেলনের আহ্বায়ক এমডি হাসান এবং কার্যকরি সদস্য আবু জোবায়ের দারা। নেতৃবৃন্দ বলেন, ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে ফোবানা সম্মেলনের উদ্বোধন এবং গালা নাইট হবে শিল্পী এবং অতিথিবৃন্দের সামনে। টরন্টো সিটি হল থেকে আনুমোদন নিয়ে সেপ্টেম্বর ২ এবং ৩ সেপ্টেম্বর চারটি স্ট্রিট বন্ধ করে ওপেন কনসার্ট, সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে দেশের শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং কলাকুশলীদের নিয়ে। আবু জোবায়ের দারা বলেন, এবারের ফোবানা সম্মেলনে বেবি নাজনীন, মমতাজ, পবন দাস বাউল, সেলিম চৌধুরী, প্রতিক হাসান, তাহমিনা মিম, বিন্দু কনা, অভিনেত্রী তানজিন তিশাসহ অন্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মেলবন্ধনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে এবারের সম্মেলনে। এবারের সম্মেলনের হোস্ট কমিটি হচ্ছে টরন্টো শহরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি। যারা ইতিপূর্বে দুই বার সফল ফোবানা সম্মেলন করেছে।
এনওয়াইপিডির সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিকী কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। শনিবার বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটি (বিসিএস) আয়োজিত বার্ষিক সম্মাননা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। বিসিএস এর পক্ষ থেকে তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি কাজী হাসান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইর্য়ক সিটির মেয়র এরিক এডামস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইর্য়ক কারেকশন বিভাগের কমিশনার লুইস এ মলিনা। বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন (বাপার) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এনওয়াইপিডি অবঃ ডিটেক্টটিভ মাসুদ রহমান জানান, সাজের্ন্ট এরশাদ সিদ্দিক চট্টগ্রাম শহরের অদূরে কালুরঘাটের মহরা এলাকার সাইদুর রহমান তালুকদার ও রেহেনা বেগমের পুত্র। চট্টগ্রামের এই কৃতি সন্তান বিগত ২০ বছর ধরে নিউইর্য়ক ফাইনেস্ট হিসেবে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৩ সালে এনওয়াইপিডিতে পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং ম্যানহাটানের ১৯ প্রিসিঙ্কটে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পান এবং ২০১৭ সালে তাকে কমিউনিটি অ্যাফের্য়াস ব্যুরোতে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটি সেবা প্রদানে বয়স্কদের অপব্যবহার, অপরাধ প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালার উপস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিউইর্য়ক সিটি মেয়র এরিক এডামসের নির্বাহী সুরক্ষা ইউনিটে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের (বাপা) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বাপার বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ।
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহে দীর্ঘমেয়াদি মর্টগেজ রেট ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই বাড়ি কেনায় সমস্যায় থাকা লোকজন আরো কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছে। মর্টগেজ বায়ার প্রতিষ্ঠান ফ্রেডি ম্যাক বলেছে, ৩০ বছর মেয়াদি গড় হার গত সপ্তাহের ৬.৯৬ ভাগ থেকে বেড়ে ৭.০৯ ভাগ হয়েছে। এক বছর আগে তা ছিল ৫.১৩ ভাগ। এ নিয়ে টানা চার সপ্তাহ ধরে গড় হার বাড়ল। আর তা ২০০২ সালের এপ্রিলের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ওই সময় গড় হার ছিল ৭.১৩ ভাগ। সর্বশেষ গত নভেম্বরে গড় হার ৭ ভাগের বেশি ছিল। ওই সময় তা হয়েছিল ৭.০৮ শতাংশ। উচ্চ হারের জন্য ঋণ গ্রহণকারীকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত কয়েক শ’ ডলার দিতে হবে। ফলে অনেক আমেরিকানের জন্যই বাড়ি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর তা কেবল ৩০ বছর মেয়াদির জন্যই হয়নি, ১৫ বছর মেয়াদি মর্টগেজের ক্ষেত্রে গড় হার বেড়েছে। উল্লেখ্য, ১৫ বছরের ফিক্সড-রেট মর্টগেজের ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের ৬.৩৪ ভাগ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৪৬ ভাগ। এই হার বাড়ার কারণ সম্পর্কে ফ্রেডি ম্যাকের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্যাম খাতার বলেছেন, ‘অর্থনীতি গত ১০ মধ্যে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছে। এর ফলে মর্টগেজ রেট বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছলতার কারণে চাহিদা বাড়ছে।’
গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাবাসী। সম্প্রতি উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারে অন্ুিষ্ঠত ওই সংবর্ধনায় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। প্রসংঙ্গত, ভিয়েতনাম থেকে নাইট অফ সেন্ট জন অফ জেরুজালেম উপাধিতে ভূষিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে যান। সংবধনা সভায় উপস্থিত সিলেট বিভাগের তৃণমূল মানুষের উদ্দেশ্যে স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই এক দেশের এক পরিবারের মানুষ। আমাদের এখানে শুয়ে আছেন, হযরত শাহজালাল (র.) সহ তার সঙ্গীয় ৩৬০জন ধর্ম প্রচারক। তারা আমাদেরকে যে নৈতিকতা শিখিয়েছেন, তার প্রথমটাই হচ্ছে ভালোবাসা। তাদের সেই শিক্ষাই আজ এই ভূমির সাধারণ মানুষ অনুসরণ করেছে। এই জন্য আপনারা সেরা মানুষ। কেবল ডিগ্রি থাকলেই শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে যায় না। অনেক বড় বড় ডিগ্রি অর্জন ও অনেক ক্ষমতা পাবার পরও গ্রামের মানুষের মতো এই চেতনা অর্জন করতে পারে না। আপনাদেরকে ভালোবাসা ও আত্ম মর্যাদাবোধে কেউ উদ্বুদ্ধ করেনি, আপনারা জন্ম থেকেই এই শক্তি লাভ করেছেন, সেটিই অনুশীলন করে চলেছেন। কবীর মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবু বকর, রফিক মিয়া ও হাজী মোখলেসুর রহমান প্রমূখ। আবু জাফর মাহমুদ সিলেটের দক্ষিণ ছাতকের সমাবেশ স্থলকে প্রানপ্রিয় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি জনপদ উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ এখানে আমাকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন, এটা আমার কোনো পরিকল্পনার অংশ নয়। গত বন্যায় আপনাদের সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা যে আত্মীয়তা গড়ে দিয়েছেন, আমি খুব চেয়েছি আমার এই আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, ভালোবাসার দায়িত্বের ওপরে কোনো দায়িত্ব নেই। আপনাদের সঙ্গে যে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে এই সম্পর্কটা হচ্ছে ভালোবাসার। মুুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী সাহেবের কমান্ডে, পরিকল্পনায় ও নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধের আমি একজন সৈনিক। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ যেমন কোনোদিন শেষ হয় না, একজন মুক্তিযোদ্ধারও কোনো অবসর নেই। যতক্ষণ জীবিত ততক্ষণই যুদ্ধ চলবে। এই যুদ্ধ হচ্ছে প্রেমের যুদ্ধ, সম্পর্কের যুদ্ধ। যদি আমার মধ্যে ভালোবাসা থাকে আপনাদের সঙ্গে, আমার প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবেই। ড. মাহমুদ ২০২২ সালের বন্যায় ছাতকের জনগোষ্ঠির দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বন্যা শুরু হওয়ার দু’দিন আগে আমি কবীর ভাইয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যা কিছু সম্বল ছিল পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। বন্যা শুরুর অনেক আগেই বুঝেছিলাম, হাওরের মানুষের অনেক কষ্ট হবে। আমার কাছে সংবাদ ছিল, এই সিলেটে উপরের অঞ্চল থেকে পানি পাঠানো হবে, দরজাটা খুলে দেয়া হবে। যারা জেনেছিলেন তাদের অনেকেই হয়তো জেনেও চুপ করে ছিলেন। আমি জেনেই আমার সাধ্যমত ব্যবস্থা নিয়েছি, এখানেই পার্থক্য। স্যার আবু জাফর মাহমুদ ছাতকের প্রিয়মুখ কবীর মিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, একজন সৎ মানুষ পেয়েছি। যোগ্য মানুষ। উপযুক্ত নেতা। কর্মঠ মানুষ। আমি তার মাধ্যমেই শীতের সময় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি একা ছিলাম কিন্তু পরে তা হয়ে উঠলো একটি পরিবার। আস্তে আস্তে যুক্ত হয়ে গেল কবীর ভাইয়ের আরেক ভাই লিলু মিয়া, জিতু মিয়া, বোন শিউলী বেগমসহ সবাই। ড. মাহমুদ ছাতক বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নই। আপনাদের কারো সঙ্গে আমার কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। পরিবেশ ও প্রকৃতি যারা ধংস করছে, তারা আমাদের নিঃশ্বাস নেবার শক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে। অক্সিজেন পাওয়ার উৎস্যগুলো ধংস করে দিচ্ছে। একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলে সে ঘাতক হয়, তাহলে যারা শত শত মানুষকে হত্যা করে পরিবেশ ধংস করে তারা কী? তার এই প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত দর্শকরাই সমস্বরে বলেন ‘গণ হত্যাকারী’। ‘তারা গণহত্যাকারী’।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট এজেন্ট পদে কর্মরত প্রায় ২৬০০ সদস্যের ইউনিয়ন সিডব্লিউএ লোকাল-১১৮২-র সভাপতি সাইদ রহিম দুদুর বিরুদ্ধে চলমান যৌন হয়রানির মামলাটি অবশেষে সেটেল্ড হলো। মামলায় তিনি হেরে গেছেন। গত ৮/০৮/২০২৩ তারিখে হওয়া সেটেলমেন্টে মামলার বাদী মিস গেইল রামরুপকে ৩১৫,০০০ ডলার দেবার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালে ৬৭ বছর বয়সী দুদুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ৬ লাখ ডলার ক্ষতিপুরণ দাবী করে ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ে করেন তারই অফিস সেক্রেটারি গেইল রামরুপ। মামলার রায়ের ফলে তার চাকুরী চলে যাবে, অবসর ভাতা পাবেন না, ডিপার্টমেন্টের সুনাম ক্ষুন্ন হবে, তার সংসার ও সামাজিক সম্মান ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এসব মানবিক কারণে আদালতের বাইরে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদালতের আদেশ পাওয়ার জন্য ২০১৯ সাল থেকে সাঈদ রহিমের এটর্নী বারবার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের কাছে। দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ১২/৯/২০২২ তারিখে বিচারক ডেভিড কোহেন এক আদেশে সেটেল্ড করার অনুমতি দেন। ২০১৯ সালে এ মামলাটি হবার পর সভাপতি রহিমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহন করেন স্টাফ রিপ্রেজেনটেটিভ রিকি মরিসন। এই ইউনিয়নে চলমান অর্থনৈতিক অনিয়ম বিষয়ে ফরেনসিক অডিট করান রিকি মরিসন। সেখানে তারা ৩৭টি অনিয়ম পায়। সিডব্লিউএ-র অডিট এবং তদন্তে রহিমের বিরুদ্ধে ৩৭টি সুনির্দিষ্ট অপরাধ পাওয়া যায়। এরপর গত ৬/০৫/২০২০ তারিখে সিডব্লিউএ- প্রেসিডেন্সিয়াল মিটিংয়ে এই অভিযোগ গুলো আলোচনা করে রহিমকে দোষী প্রমাণিত করে।
গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ড. আবু জাফর মাহমুদ নাইট অফ সেন্ট জন অফ জেরুজালেম উপাধি লাভ করেছেন। গত ২৯ জুলাই ভিয়েতনামের ভাং তাও শহরের ইমপেরিয়াল হোটেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ১০৯৯ সাল
৫ দিনের ব্যবধানে ২৩ জুলাই রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা স্টেটে ফিনিক্স সিটির অদূরে কারা গ্রান্দে এলাকায় নিজ গ্রোসারি স্টোরে মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৪২) নামক আরেক বাংলাদেশির প্রাণ ঝরলো বন্দুকের গুলিতে। এর আগে ১৯ জুলাই মিজৌরি স্টেটের সেন্ট লুইসে একটি স্টোরে কর্মরত অবস্থায় ইয়াজউদ্দিন আহমদ (২৩) নামক এক বাংলাদেশি দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আবুল হাসিমের ঘাতককে গ্রেফতারের সংবাদ পাওয়া গেলেও ইয়াজউদ্দিনের ঘাতক এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় কম্যুনিটিতে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। আরিজোনাস্থ বাংলাদেশি কম্যুনিটির নেতা এবং ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রেজা রহিম ২৪ জুলাই এ সংবাদদাতাকে জানান, কাসা গ্রান্দে সিটির সানল্যান্ড জিন রোড এবং ওয়েস্ট কংকোর্ডিয়া ড্রাইভে অবস্থিত ‘সানলাইট মার্কেট’এ রবিবার সকাল সোয়া ৭টায় বন্দুকধারি দুর্বৃত্তের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আবুল হাশিম। পিনাল কাউন্টি পুলিশ জানায়, সংবাদ পেয়ে ঐ স্টোরে পৌঁছার পর মেঝেতে নিথর দেহ পড়েছিলে আবুল হাশিমের। গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করা হয়েছে। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ঘাতক হিসেবে সন্দেহভাজন এক কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবুল হাশিম ছিলেন ঐ গ্রোসারি স্টোরের মালিক। ৬ বছর বয়সী এক পুত্র এবং দুই বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসতি গড়েছিলেন আবুল হাশিম। তার ৭ ভাই-বোনের সকলেই বাস করেন একই সিটিতে। কম্যুনিটি লিডার মাহবুব রেজা রহিম আরো জানান, আবুল হাশিমের মর্মান্তিক এই মৃত্যুর সংবাদে শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা কম্যুনিটি।