অফিসে কাজের ফাঁকে কিংবা অবসরে মোবাইলে প্রতিদিনই অনায়াসে চোখ ঘোরাফেরা করছে নানা সাইটে। ল্যাপটপে একসঙ্গে একগুচ্ছ উইন্ডো খোলা কিংবা মোবাইলে অনলাইন শপিং সাইট খুলে রাখা, এটা নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। অনেকে আবার বেশির ভাগ সময় অনলাইন কেনাকাটায় পুরো সময়টাই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।
জামা, জুতা, শ্যাম্পু কিংবা লাইফস্টাইলের নানা পণ্যও শপিং সাইটগুলো থেকে হুট করেই কিনে ফেলেন। যারা প্রতিনিয়ত অনলাইনে এমন কেনাকাটায় অভ্যস্ত, তাদের অনেকেই মানসিক বিকারগ্রস্থ।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমীক্ষা বলছে, যারা এ ধরনের কেনাকাটা করে থাকেন তাদের বেশির ভাগই নাকি মানসিক সমস্যায় জর্জরিত, ডিপ্রেশনে ভোগেন। তারা নিজেদের অজান্তেই এমনট করে থাকেন। এই কেনাকাটায় কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। একে বলা হচ্ছে বাইং-শপিং ডিসঅর্ডার (বিএসডি)।
১২২ জনের ওপর চালানো একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই সর্বদাই অনলাইন কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন। প্রতি সপ্তাহে নতুন কিছু চাই তাদের। আসলে আর কিছু না, এটা একরকম মানসিক ব্যাধি। কোথাও গিয়ে তারা একাকিত্ববোধ করেন। তাই কেনাকাটা, সাজগোজ, বাড়ি সাজানো, পাপোশ বদলানোর মধ্যে দিয়ে নিজেদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত রাখেন। যা নিজেরাও টের পান না।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ শুরুতেই সামাল দিতে না পারলে পরিস্থিতি অন্য দিকে যেতে পারে। যারা সারাক্ষণ অনলাইন কেনাকাটায় থাকেন তাদের অবিলম্বে কাউন্সেলিং করানো উচিত।
এ বিষয়ে আগে প্রয়োজন পরিবারের সহযোগিতা। কাছের আত্মীয় বন্ধুদের বোঝাতে হবে যা করছেন তা ঠিক করছেন না। এদের ব্যবহারের পরিবর্তন আগে প্রয়োজন।
‘কগনেটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি’র মধ্যে দিয়ে গেলে অনেকাংশে তা সেরে যায়। প্রয়োজন মতো নিজের ফোন থেকে কিছু অ্যাপ আনইন্সটল করুন। মনে রাখবেন একটা জুতা কিংবা জামা থেকে কখনই আপনার জীবন বদলে যাবে না।