নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সায়মানারচর গ্রামে নিজ বাড়িতে রহিমা বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা সায়মানারচর গ্রামের কৃষক আকবর মোল্যার স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বুলবুল মাস্টার ও মুছা মেম্বারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নিহত রহিমা বুলবুল মাস্টারের লোক বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী আকবর মোল্যাকে বাড়ির পাশে বেঁধে রেখে তার স্ত্রী রহিমাকে উঠানে হত্যা করা হয়। রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন ছাগল লুট করতে বাড়িতে আসলে, তারা ঘর থেকে বের হন। এ সময় আকবর মোল্যাকে বেঁধে তার স্ত্রীকে হত্যা করে তারা। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়, তা পুলিশকে স্পষ্ট করেননি আকবর মোল্যা। এ সময় বাড়িতে আকবর মোল্যা, তার স্ত্রী রহিমা, এক ছেলে (১৫) ও দুই নাতনি ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, রহিমাকে প্রতিপক্ষ মুছা মেম্বারদের লোকজন হত্যা করেছে বলে পরিবার অভিযোগ করলেও গুঞ্জণ হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমাকে নিজেরাই হত্যা করেছে তারা। গুঞ্জনের বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এ ব্যাপারে লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের মুখের বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে কে বা কারা হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।