বিশ্বের সব দেশের জন্য স্পেশাল ট্যুরিস্ট ভিসা (এসটিভি) উন্মুক্ত করে দিয়েছে থাইল্যান্ড। এর ফলে নিজের দেশের করোনা পরিস্থিতি যা-ই থাকুক না কেন, সেই দেশের নাগরিক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রায় দুই মাস সময়ে সেখানে ২৯টি দেশ থেকে মাত্র ৮২৯ জন ব্যক্তি এই ভিসার সুযোগ নিয়েছেন। মাত্র ৬টি প্রমোদতরী ভাড়া নিয়েছেন তারা। এর পর এ সুবিধাকে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে দেশটি। ব্যাংকক পোস্টকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক অনলাইন মাদারশিপ। তবে একই খবরে বলা হয়েছে থাইল্যান্ডের অন্য পত্রিকা নেশন থাইল্যান্ড আরও খবর দিয়েছে যে, সংশোধিত এসটিভি কর্মসূচির আওতায় যেসব পর্যটক থাইল্যান্ডে যাবেন, তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। থাইল্যান্ডে কোথায় অবস্থান করবেন এ বিষয়ে অবশ্যই প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
উল্লেখ্য, এসটিভি স্কিম প্রথম চালু করা হয় এ বছর ৩০ শে সেপ্টেম্বরে। প্রথম দিকে যেসব দেশ করোনা ভাইরাসের কম ঝুঁকিতে, তাদেরকে এ সুবিধা দেয়া হয়। এ কারণে দেশটিতে কম সংখ্যক মানুষ ভিসা নিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রিপোর্ট করেছে যে, বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার ফলে অক্টোবরে থাইল্যান্ড সফর করেছেন মোট ১২০১ জন বিদেশি নাগরিক। অথচ গত বছর একই মাসে এই সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৭০ হাজার। ফলে ভয়াবহভাবে পর্যটকের সংখ্যায় পতন দেখা দিয়েছে। এতে দেশটির অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের জন্যও নিয়ম পরিবর্তন
একইভাবে সিঙ্গাপুরের জনগণের জন্য একই ধরনের ভিসার (এসটিভি) ক্ষেত্রে নীতি পরিবর্তন করেছে থাইল্যান্ড। এর আগে অন্য সব চাহিদার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের কোনো ব্যক্তির ভিসা আবেদনের তারিখ থেকে পূর্ববর্তী ৬ মাস ধরে ব্যাংক একাউন্টে কমপক্ষে ২২,২০০ সিঙ্গাপুরি ডলার বা কমপক্ষে ৫ লাখ বাথ জমা থাকতে হতো। এই শর্ত এখন পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজকীয় থাই দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই শর্ত এখন শুধু স্বামী-স্ত্রীর আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের কমপক্ষে ৯০ দিন থাইল্যান্ডে থাকতে হবে এমন শর্তও দেয়া হতো আগে। এখন এই নীতিও পরিবর্তন করে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত থাকলেই চলবে। তা সত্ত্বেও প্রতি ১৫ দিন পর পর থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিসা রিভিউ করবে। তবে আবেদনকারীকে যেকোনো রকম চাকরির ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে অবশ্যই তার সব রকম চিকিৎসার খরচ বিষয়ক স্বাস্থ্যবীমার দু’টি কপি জমা দিতে হবে। এই স্বাস্থ্যবীমার অধীনে থাকবে কোভিড-১৯ও। এ জন্য থাইল্যান্ডে অবস্থানকালীন খরচের পরিমাণ থাকতে হবে কমপক্ষে এক লাখ ডলার। অন্যদিকে ভিসার চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ সিঙ্গাপুরি ডলার।