সুন্দর, ঝরঝরে চুল সবারই কাম্য। তাই চুলের যতেœ সবারই থাকে বাড়তি চিন্তা। চিন্তাটি আরও বাড়ে বর্ষায়। বর্ষার আর্দ্রতা চুলের ক্ষতির অন্যতম কারণ। এই সময়ের সবচেয়ে বড় বিপত্তি চুল ওঠা। এর সঙ্গে চুল পড়া, খুশকি, ঘামাচি, স্ক্যাল্পে ইনফেকশনসহ বিভিন্ন সমস্যা তো লেগেই থাকে। এ কারণে বর্ষায় চুলের প্রয়োজন বিশেষ যতেœর। কী করে নেবেন চুলার যত্ন, এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জারা’স বিউটি লাউঞ্জের সিইও, বিউটি এক্সপার্ট ফারহানা রুমি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন পূর্বা জান্নাত
বর্ষাকালে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, চুল ভেজা থাকার কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় ফাঙ্গাল দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। খুশকির প্রবণতাও তখন অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া বর্ষার সময়টায় চুল পড়ার প্রবণতাও অনেক বেড়ে যায়। তাই চুল পরিষ্কার রাখতে ও সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করতে হবে। একই সঙ্গে ভালোমানের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। চেষ্টা করুন সব সময় চুল শুকনা রাখতে। চুলের যতেœ আপনার পছন্দমতো যে কোনো ভালোমানের সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ¯œানের পর সিরাম ব্যবহার করে চুলটা শুকিয়ে নিন। বেশিরভাগে হেয়ার ড্রায়ারে ঠা-া বা গরম বাতাস- দুটি অপশনই থাকে। চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে ঠা-া বাতাসের অপশনটা বেছে নিন।
চুলে শ্যাম্পু করার আগে একটু অয়েল মাসাজ করে নিন। এতে চুলটা ঝরঝরে ও উজ্জ্বল হবে। নারিকেল তেল, তিলের তেল, পরিমাণমতো কেস্টোর অয়েল, কালোজিরার তেল, জবার তেল ও ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল ২টি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথায় মাসাজ করুন। ফলে চুলের আগা ফাটা, চুল পড়া অনেকটাই কমে যাবে। চুল হয়ে উঠবে শক্ত, মজবুত ও উজ্জ্বল। চুল পড়া রোধ করতে ২টি পাকা কলা, পরিমাণমতো টক দই ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।
কিছু ঘরোয়া উপাদান দিয়েও বিভিন্ন ধরনের মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে তা পেস্ট করে স্ক্যাল্পে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এতে চুল হবে ঝরঝরে, সিল্কি ও স্মুথ। এ ছাড়া নিমপাতা ও হলুদ বেটে স্ক্যাল্পে ব্যবহার করতে পারেন। নিম ও হলুদ- দুটিতেই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। তা খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে। রাতে একবার ৫-১০ মিনিট ধরে চুল আঁচড়ে নিয়ে হালকা করে চুল বেঁধে ঘুমাতে গেলে চুল ভালো থাকে।
মাসে ২টি হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে পারলে চুলের জন্য খুব উপকারী হয়। চুলে ওজন থেরাপি দিলে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। প্রতিদিন চুলে ধুলাবালি, ময়লা জমে থাকার কারণে চুলের গোড়ায় মৃত কোষ জন্মায়। তা নতুন চুল গজাতে দেয় না। এই ওজন থেরাপির মাধ্যমে চুলের গোড়ায় ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে এবং খুশকিগুলো ঝরে পড়ে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই ১৫ দিন অন্তর এই ওজন ট্রিটমেন্টটা করা যায়। এ বর্ষায় হেয়ার ট্রিটমেন্টগুলো চুলের জন্য খুবই উপকারী।