শুধু রক্ত পরীক্ষা করেই ক্যানসার শনাক্ত সম্ভব এখন। উপসর্গ দেখা-বোঝার আগেই ধরা পড়বে ৫০ ধরনের বেশি ক্যানসার। এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা বুঝতে ইংল্যান্ডে বিশ্বের বৃহত্তম হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) তত্ত্বাবধানে ওই ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন প্রায় দেড় লাখ স্বেচ্ছাসেবক, যাদের বয়স ৫০ বছর থেকে ৭৭ বছরের মধ্যে। এই হিউম্যান ট্রায়ালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্যালেরি ট্রায়াল’।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের সর্বত্র বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহের সরকারি অভিযান গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। বাড়িতেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেউ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, হলে কোন ধরনের ক্যানসার আর তা এখন কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রেও এরইমধ্যে এই গ্যালেরি টেস্ট চালু হয়েছে। তবে সেই পরীক্ষাপদ্ধতিতে কিছু ভুল ধরা পড়েছে। মানবশরীরের টিউমার থেকে ধমনিতে ছড়িয়ে পড়া ডিএনএর কিছু অংশ পরীক্ষা করেই গ্যালেরি টেস্ট চালানো হয় আমেরিকায়; কিন্তু এই পদ্ধতিতে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়ছে না বলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশ সমালোচনা করেছেন। সে দেশে এই পরীক্ষাপদ্ধতিতে আপাতত গ্যালেরি টেস্টের মাধ্যমে ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, গলা, ঘাড় ও মাথার ক্যানসার প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়েছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ আমান্দা প্রিচার্ড বলেছেন, ‘আমেরিকার গ্যালেরি টেস্টের ফলের কথা মাথায় রেখে ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষাপদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।’ তার সুফল বুঝতেই শুরু হয়েছে এই হিউম্যান ট্রায়াল।