আদা মূলত গাছের শিকড়। মসলা হিসেবে আদার ব্যবহার সব খাবারই সুস্বাদু করে, একেবারে জিভে পানি এনে দেয়। আদায় রয়েছে কিছু রোগের অসাধারণ নিরাময় ক্ষমতা। যেমন- মাথাব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খেটে পারেন আদার চা। রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে, মাথাব্যথারও উপশম হবে। মাতৃত্বকালীন বমি বমি ভাব কিছুটা হলেও কমায় আদা।
শরীরের জয়েন্টে ব্যথা হলে আদা কুচি কুচি করে খেলে আরাম পাওয়া যায়। শ্বেতিরোগে আদা বেঁটে দিনে তিন-চার বার লাগান। চার থেকে বারো সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন। নিয়মিত আদা খেলে অফুরান প্রাণশক্তি পাওয়া যায়। কমে যায় রোগব্যাধি। খাবার হজম হচ্ছে না? পেটে গুড়গুড় ভাব? আদাজল খেয়ে নিন। আরাম পাবেন।
অপারেশনের পর কাঁচা আদা খান। দ্রুত সেরে উঠবেন। সর্দি লাগলে আদা কুচি করে রুমালে নিয়ে নাকে ঝাঁজ নিন। বন্ধ নাক খুলে যাবে। ভ্রমণের সময় বমি ভাব এলে মুখে এক টুকরো আদা দিন। দেখবেন বমি ভাব উধাও। হজমে গোলযোগ হলে আদা কিংবা আদা চা খেতে পারেন। দ্রুত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে আদায়। এ ছাড়া বুকে কফ জমে কিংবা ঠান্ডা লেগে যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়, তাদের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হলো আদা। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ড কর্মক্ষম রাখে। এটি ধমনি থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। রক্ত সঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।